রংপুরের বদরগঞ্জে এক নারীর কাছ থেকে জোর পূর্বক তালাক নামায় সই নেয়ায় থানায় অভিযোগ করেছে।
এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করায় অভিযুক্তরা বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্য নির্যাতিতা নারী ও তার পরিবারকে চাপ প্রয়োগ করছে।
বদরগঞ্জ থানার ওসি(তদন্ত) ইনচার্জ আব্দুল লতিফ জানান, রংপুরের লোহানীপাড়া ইউনিয়নের তেলিপাড়া মুসামারী গ্রামের খাদিজা বেগম(১৯) বুধবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে তার স্বামী নুরুজ্জামানের(২৮), লোহানীপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের কাজী নুরুল ইসলাম, ইউপি সদস্য দুলাল, নাগরিক উদ্যোগের স্থানীয় মোবিলাইজার আবুল কালাম আজাদ, শাশুড়ী লতিফুন্নেছা, ননদ লাভলী বেগম, মাতব্বর খায়রুল হক ও মোজাফফর হোসেনকে আসামি করা হয়েছে।
তাদের বিরুদ্ধে স্বামী, শাশুড়ি ও ননদ কর্তৃক নির্যাতনের বিচার চেয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে লিখিত আবেদন করলে উল্লেখিতরা কোন ধরনের বিচারের ব্যবস্থা না করে জোর করে তালাক নামায় সই নিয়ে মহরানা বাবদ ৪৫ হাজার টাকা ভাগবাটোয়ারা করে নেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
উদ্যোগের বদরগঞ্জ উপজেলা কর্মকর্তা শিল্পী শিকদার জানান, ‘বিষয়টি জানার পর আমরা সরজেমেিন তদন্ত করেছি এবং মোবিলাইজার আবুল কালাম আজাদকে শোকজ নোটিশ দেয়া হয়েছে।’
এ ব্যপারে লোহানীপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইলিয়াস আহমেদ বলেন, ‘ আমি ইউনিয়ন পরিষদে ছিলাম না। বাইরে ছিলাম। এই সুযোগে দুলাল ও শামীম মেম্বার এবং মোজাফফর, এনজিও কর্মী আবুল কালাম, খায়রুল ও মজমল এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। এটা অন্যায় করা হয়েছে। তারা মেয়েটার জীবনটাকে নষ্ট করে দিয়েছে। আমি মেয়ের পরিবারকে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছি। ’
সূত্র জানায়, মেয়ের কাছ থেকে তালাক নামায় সই করিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতিতে ইউপি মেম্বার শামীম, দুলাল, নাগরিক উদ্যোক্তার কর্মী আবুল কালাম, স্থানীয় দেওয়ানি মোজাফফর(লাল মাথা), খাইরুল ও মজমল মিলে ৯০ হাজার টাকা নুরুজ্জামানের কাছ থেকে নেয়। সেটি তারা ইউনিয়ন পরিষদের ভেতরে সালিশের নামে মেয়ের কাছ থেকে জোড়পূর্বক সই নিয়ে সেই টাকা ভাগবাটোয়ারা করে নেয়।