গাজার কাছে ইসরায়েলের এক লাখ রিজার্ভ সেনা

SHARE

গাজা উপত্যকার কাছে এক লাখ রিজার্ভ সৈন্য মোতায়েন করেছে ইসরায়েল। দেশটির সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জোনাথন কনরিকাস নামের ওই মুখপাত্র বলেন, আমরা ১ এক লাখ রিজার্ভ সৈন্য মোতায়েন করেছি। চলমান সংঘাতে মাত্র একদিনে তেল আবিবের গুরিয়ান বিমানবন্দর দিয়ে অন্তত ৬০ হাজার ইসরায়েলি দেশত্যাগ করেছেন।
এখনো হাজার হাজার মানুষ ইসরায়েল ছাড়ার জন্য বিমানবন্দরে ভিড় করছেন বলে জানা গেছে।

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের আকস্মিক হামলায় অনেকটা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ইসরায়েল। ১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিনকে দ্বিখণ্ডিত করে জন্ম হয় ইসরায়েলের। এরপর গত ৭৫ বছরে কখনো এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হয়নি ইহুদিবাদী ইসরায়েলকে।
হঠাৎ করে এত বড় আকারের হামলা দেখে— চমকে গেছে ইসরায়েলসহ বিশ্বের সব দেশ।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর জোনাথন কনরিকাস নামের ওই মুখপাত্র বলেন, আমাদের কাজ হলো এই যুদ্ধের শেষ করা এবং ইসরায়েলের নাগরিকদের জন্য হামাস যেন হুমকি না হতে পারে তা নিশ্চিত করা। ইসরায়েলি সেনারা এখন তাদের সীমানায় ঢুকে পড়া হামাস যোদ্ধাদের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে।
ইসরায়েলের অভ্যন্তরে ফিলিস্তিনের গাজার প্রতিরোধ সংগঠন হামাসের আকস্মিক ও নজিরবিহীন হামলার জবাবে ‘কঠিন প্রতিশোধ’ নেওয়ার হুমকি দিয়েছে দেশটি।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু গাজা উপত্যকাকে ‘জনমানবশূন্য দ্বীপে’ পরিণত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। নেতানিয়াহুর এ হুঁশিয়ারির মধ্যেই সম্ভাব্য স্থল অভিযানের জন্য গাজা সীমান্তে বিপুল অস্ত্রশস্ত্র ও সৈন্য সমাবেশ শুরু করেছে ইসরায়েল। এতে গাজায় দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। সেই সঙ্গে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে গাজার বাসিন্দাদের আবারও এক ভয়ানক মানবিক সংকটের মুখে পড়ার।
গত শনিবার ইসরায়েলে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় হামলা চালান গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা।
মাত্র ২০ মিনিটে দেশটিতে ৫ হাজারের বেশি রকেট ছোড়ার কথা জানায় হামাস। এ হামলা ঘিরে দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হওয়া লড়াইয়ে ইতিমধ্যে কয়েক শ ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি সেনাকে বন্দী করেছে হামাস। ৫০ বছর আগে ‘ইয়ম কিপ্পুর’ যুদ্ধের (১৯৭৩ সালে ৬ দিনের আরব–ইসরায়েল যুদ্ধ) পর এমন রক্তক্ষয়ী হামলার মুখে দ্বিতীয়বার পড়েনি ইসরায়েল।