‘নির্বাচনের পরিবেশ হচ্ছে কি না নজর রাখছেন খালেদা’

SHARE

khaledaaসিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সকল প্রার্থীকে সমান সুযোগ দিয়ে সরকার এবং নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করছে কি না- বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সেদিকে নজর রাখছেন।

সোমবার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের পর কার্যালয়ের বাইরে অপেক্ষামান সাংবাদিকদের কাছে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক রুহুল আমিন গাজী এই তথ্য জানান।

গাজী বলেন, “নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী প্রার্থিতা যাচাই-বাছাই অর্থাৎ বৃহস্পতিবারের পর ঢাকার মেয়র প্রার্থী চূড়ান্ত করবে বিএনপি।”

তিনি বলেন, ‘‘ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রার্থী এখন এখনো বিএনপি চূড়ান্ত করেনি। প্রার্থী কাকে করা হবে, তা নিয়ে সবার সঙ্গে তিনি আলোচনাও করছেন।প্রার্থিতা যাচাই-বাছাই অর্থাৎ ২ তারিখের পর-ই তা চূড়ান্ত করা হবে। ”

দলীয়ভাবে অংশগ্রহণের সুযোগ না থাকায় ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনের কার্যক্রম বেগম খালেদা জিয়া তীক্ষভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন বলেও জানান রুহুল আমিন গাজী।

তিনি বলেন, ‘‘সিটি নির্বাচনে দলীয়ভাবে অংশ নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। ম্যাডাম চান সব প্রার্থী যাতে তাদের প্রচার-প্রচারণার সমান সুযোগ পায়। একটি অর্থবহ ও গ্রহনযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচনের সেরকম পরিবেশ তৈরি হচ্ছে কিনা- তার ওপর তিনি নজর রাখছেন।’’

২৮ এপ্রিল ভোটের দিন রেখে নির্বাচন কমিশন ঢাকার উত্তর, দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের যে তফসিল ঘোষণা করেছে তাতে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর্ব শেষ হয়ে গেছে। বাছাই হবে ১ ও ২ এপ্রিল।

ঢাকা উত্তরে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টু, ঢাকা দক্ষিণে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, মহানগর বিএনপির উপদেষ্টা আবদুস সালাম, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টু মেয়র পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

মেয়াদপূর্তির কারণে ঢাকা সিটি নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে দীর্ঘ আট বছর ধরে। এরইমধ্যে আগের সীমানা ভেঙে উত্তর ও দক্ষিণের জন্য গঠন করা হয়েছে দুটি আলাদা সিটি করপোরেশন।

আর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়াদ রয়েছে জুলাই পর্যন্ত। নির্ধারিত সময়েই সেখানে ভোটের আয়োজন হচ্ছে।

রাত সাড়ে পৌনে ৮টার দিকে পুলিশের অনুমতি নিয়ে রুহুল আমিন গাজীর নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল কার্যালয়ে প্রবেশ করে। প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শওকত মাহমুদ, মহাসচিব এম এ আজিজ, ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ, সহসভাপতি রিয়াজুল ইসলাম রিজু, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি অধ্যাপক রফিকুল কবির, কোষাধ্যক্ষ মোস্তাক রহিম স্বপন, যুগ্ম মহাসচিব এসএম রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাফরুহি আখতার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. শরীফ উদ্দিন, এগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সচিব হাসান জাফির তুহিন ও জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম।

নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি না হলে সেক্ষেত্রে বিএনপি নির্বাচন থেকে সরে আসবে কিনা জানতে চাইলে সাংবাদিক শওকত মাহমুদ বলেন, ‘‘সিটি নির্বাচনের পরিবেশ ও ক্ষমতাসীন দলের নেতা-মন্ত্রীদের নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করার বিষয়গুলো বেগম জিয়া পর্যবেক্ষন করছেন।যদি নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি না হয়, সেক্ষেত্রে ভোটাররা যদি ভোট দিতে না পারে, তখন তিনিই (বেগম জিয়া) ঠিক করবেন কি করতে হবে।’’
এরপর রাত সাড়ে ৯টার দিকে আইনজীবীদের একটি প্রতিনিধিদল বেগম জিয়ার সঙ্গে দেখা করে। ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ফাইন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক ফারুকী, অ্যাডভোকেট সিমকি ইমাম খান ও অ্যাডভোকেট আবদুল খালেক মিলন।

পরে গণস্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরীরও বেগম জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন।