যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞায় চীনের সরকারি কর্মকর্তারা

SHARE

এবার একাধিক সরকারি শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তিব্বতের তরুণ প্রজন্মের ওপর জবরদস্তিমূলক নীতি আরোপের কারণে সরকারি কর্মকর্তাদের ওপর দেয়া হচ্ছে এই নিষেধাজ্ঞা। তাদের স্বতন্ত্র ভাষাগত, সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় ঐতিহ্যকে মুছে ফেলার চেষ্টার সঙ্গে জড়িত চীনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এমন নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই নিষেধাজ্ঞার কথা জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনালিটি অ্যাক্টের ২১২ (এ)(৩)(সি) ধারা অনুযায়ী চীনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তর।
এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণার পর তিব্বত ও চীনের অন্যান্য অংশে এ ধরনের নিপীড়নমূলক নীতি পরিহারের জন্যও বেইজিংয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ওয়াশিংটন। তবে তাদের মিত্র এবং অংশীদারদের সঙ্গে এ ব্যাপারে কাজ চালিয়ে যাবে।
এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসে তিব্বতের শিশুদের আবাসিক স্কুলে জোর করে পাঠানোর বিষয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছিলেন জাতিসংঘের তিন মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ। রিপোর্টে বলা হয়, ১০ লাখের বেশি তিব্বতি শিশুকে পরিবারের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে আবাসিক স্কুলে পাঠানো হয়েছে। তিব্বতি শিশুদের জন্য বাধ্যতামূলক আবাসিক স্কুলের ব্যবস্থা প্রকৃতপক্ষে দেশটির সংখ্যাগুরু হানদের সংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা। এটা আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের পরিপন্থি।
তবে বেইজিং এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছিল, চীনের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এটি পশ্চিমাদের আরেকটি অপচেষ্টা মাত্র।
গত ২০ আগস্ট নাগরিকদের মানবাধিকার ভূলণ্ঠিত করা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার অভিযোগে একশ ব্যক্তির ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। তাদেরকে স্বাধীনতার হরণকারী ও গণতন্ত্রের শত্রু উল্লেখ করে তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে মধ্য আমেরিকার দেশ নিকারাগুয়ার ১০০ জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে এমন ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। নিকারাগুয়ার প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওর্তেগা ও ভাইস প্রেসিডেন্ট রোজারিও মুরিলোর প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।