বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি’র চেয়াম্যান আন্দালিভ রহমান পার্থ বলেছেন, “৫ই জানুয়ারী নির্বাচনে লাগামহীন ভাবে কারচুপি হয়েছে। আমরা এতদিন আন্দোলন করেছি ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সাথে ভোটাধিকারের কোন সর্ম্পক নেই। জনগণ এ নির্বাচন প্রত্যাখান করেছে। জনগণ যাদের প্রত্যাখান করে তারা বেশিদিন টিকতে পারেনা। আপনারা যদি দেশকে আফগানিস্তান বানান তবে আমরাও তালেবান হবো।”
শনিবার বিকেলে রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশন এবং বিবিসি বাংলার যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত বিবিসি বাংলাদেশ সংলাপের ৫৫ তম পর্বে প্যানেল বক্তব্যে পার্থ এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানটির প্রযোজনা করেন ওয়ালিউর রহমান মিরাজ এবং উপস্থাপনা করেন আকবর হোসেন।
বিএনপি কি ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ না নিয়ে বড় রকমের রাজনৈতিক ভুল করেছে? দর্শকের এমন প্রশ্নের উত্তরে প্যানেল সদস্য আওয়ামীলীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক এবং নীলফামারি-২ আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর বলেন, “এর আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে তো তারা জয়ী হয়েছিলেন। তাই তারা নির্বাচনে আসতে পারতো। তা না করে তারা সহিংস আন্দোলন করেছে। এখানে আন্দোলনকারী নেতারা রাস্তায় নেই। তবে কিছু সন্ত্রাসীদের দিয়ে সহিংস আন্দোলন করে সাধারণ মানুষদেরকে হত্যা করছে।
বেসরকারী সংগঠন নিজেরা করি’র সমন্বয়ক খুশী কবির বলেন, আওয়ামী লীগের উচিত ছিল বিএনপিকে নির্বাচনে নিয়ে আসা দরকার ছিল। এই বিষয়ে সাবেক রাষ্ট্রদূত আশফাকুর রহমান বলেন, বিএনপি সহ ১৮ দল পলিটিক্যাল পার্টির মতো ব্যবহার করেনি। তারা ভালো ভাবেই কেয়ার টেকারের অর্থই বুঝাতে পারেনি।
বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটলেও দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নজীর খুবই বিরল কেন এমন এক প্রশ্ন এক দর্শক করলে খুশী কবির উত্তরে বলেন, অত্যাচার-হামলার ঘটনার সুরাহা হয় না আর। যারা দায়িত্বে থাকেন কোন কারণে তারা অন্য বিষয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। ফলে বিষয়গুলো ধামাচাপা পড়ে যায়। আওয়ামী লীগ সরকার এ বিচারের ব্যাপারেও খুব একটা সিরিয়াস না। রামুর ঘটনার সাথে তো তাদের অধিকাংশরাই জড়িত ছিলো। রাজনৈতিক ব্যক্তিরা স্বার্থ-সিদ্ধির বা ফায়দা হাসিল করার চেষ্টা করে।