এবার শেষ আটেই মাদ্রিদ গৃহযুদ্ধ

SHARE

ronaldo messi21ইব্রাহিমোভিচ বিহীন প্যারিস সাঁ জাঁ-র দায়িত্ব লিওনেল মেসি নামক প্রতিভাকে আটকানোর।

গত বছরের ফাইনালের বদলা নেওয়ার মঞ্চ তৈরি আটলেটিকো মাদ্রিদের জন্য। তবে কি মাদ্রিদ গৃহযুদ্ধের ছবি পাল্টাবে?

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের ড্রয়ের পরে আবার ক্লাব প্রতিদ্বন্দ্বিতায় লেখা হতে চলেছে নতুন অধ্যায়। এক গ্রুপে থাকা দু’দলের দ্বৈরথ ফের দেখা যাবে কোয়ার্টার ফাইনালে। এক দিকে রয়েছে মেসি-নেইমার-সুয়ারেজের বার্সেলোনা। যারা মরসুম শুরুতে খারাপ ফর্মে থাকলেও যত দিন যাচ্ছে ততই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে। অন্য দিকে প্যারিস সাঁ জাঁ। যারা সদ্য হোসে মোরিনহোর দল চেলসিকে হারিয়ে শেষ আটে। এই মরসুমের গ্রুপেও বার্সা বনাম সাঁ জা হয়েছিল। ইব্রার দল নিজেদের ঘরের মাঠে ৩-২ জেতে। বার্সা কাম্প ন্যুতে জেতে ৩-১। কার্ড সমস্যায় প্রথম পর্বে সাঁ জাঁ ঘরের মাঠ প্যারিসেই পাবে না মহাস্ট্রাইকার ইব্রাহিকে। থাকবেন না মিডফিল্ডার মার্কো ভেরাত্তি-ও।

লটারির ড্রয়ে আজ বার্সা-প্যারিস মুখোমুখি হতেই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলো ব্যস্ত হয়ে পড়ে। ইতালির কিংবদন্তি ডিফেন্ডার ফ্র্যাঙ্কো বারেসি পোস্ট করেন, “প্যারিস-বার্সা সবচেয়ে হাড্ডাহাড্ডি হবে।” বার্সা তারকা আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা টিভির সামনে বসে লাইভ ড্রয়ের ছবি পোস্ট করেন। বার্সার ফরাসি ডিফেন্ডার জেরেমি ম্যাথিউ পোস্ট করেন, “আমি গর্বিত দুই ফরাসি দল কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে। কিন্তু আমরা তৈরি।” তরুণ তারকা মার্ক বাত্রার দুটো শব্দের পোস্টের মধ্যেই বোঝা যায়, বার্সা তৈরি “ফোর্কা বার্সা।”

ও দিকে আবার লিসবন ফাইনালের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ দেখতে চলেছে মাদ্রিদের গৃহযুদ্ধ। রিয়াল বনাম আটলেটিকো। গত বছর ফাইনালের পরে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বিকে প্রতিটা মঞ্চেই হারিয়েছে আটলেটিকো। কোপা দে রে হোক বা লা লিগা, প্রতিটা ম্যাচেই। কিন্তু কথায় আছে, ইউরোপিয়ান কাপে সম্পূর্ণ অন্য রিয়ালকে দেখা যায়। যদিও ড্র শেষে রিয়াল কর্তা এমিলিয়ানো বলেছেন, “আটলেটিকো খুব লড়াকু দল। এই মরসুমে অনেক বার ওদের বিরুদ্ধে খেলেছি।” সঙ্গে তিনি যোগ করেন, “আটলেটিকো ভালো করে জানে আমাদের কী দুর্বলতা আছে। প্রতিটা পরিস্থিতি থেকেই ওরা ম্যাচ বার করে আনতে জানে। খুব ভাল ম্যাচ হবে।” আটলেটিকো প্রেসিডেন্ট এনরিকে সেরেজো আবার বলেছেন, “শেষ আটে রিয়াল পড়েছে তো কী! ওদের হারানোর ক্ষমতা আছে আমাদের। গতবারও তো চেলসি, বার্সেলোনার মতো দলকে হারিয়ে ফাইনালে গিয়েছিলাম।”

কোয়ার্টার ফাইনাল
• প্যারিস সাঁ জাঁ বনাম বার্সেলোনা
• রিয়াল মাদ্রিদ বনাম আটলেটিকো মাদ্রিদ
• বায়ার্ন মিউনিখ বনাম এফসি পোর্তো
• এএস মোনাকো বনাম জুভেন্তাস
• প্রথম পর্ব ১৪ এপ্রিল ও ১৫ এপ্রিল
• দ্বিতীয় পর্ব ২১ এপ্রিল ও ২২ এপ্রিল