ইয়েমেনে বোমা হামলা: হাসপাতালে রক্তের জন্য হাহাকার

SHARE

yamen02ইয়েমেনের দুটি মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলায় অন্তত ১৪২ জন নিহত ও বহু লোক আহত হওয়ার পর রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে শুরু হয়েছে রক্তের জন্য হাহাকার।

অন্যদিকে, আল-কায়েদার সাথে সম্পৃক্ত যোদ্ধারা ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলের আল-হুতা শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

ইয়েমেনের মসজিদে হামলার দায় স্বীকার করে নিজেদের টুইটার অ্যাকাউন্টে এক বার্তা দিয়েছে ইসলামিক স্টেট।

যদি, তাদের এই দাবি সত্য হয়, তাহলে ইয়েমেনে এটিই হবে ইসলামিক স্টেট-এর প্রথম কোনো হামলা।

শরীরের সঙ্গে বিস্ফোরক পেঁচিয়ে নিরাপত্তারক্ষীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে ইয়েমেনের রাজধানী সানা’র দুইটি মসজিদে ঢুকে বিস্ফোরণ ঘটায় ৪ জন আত্মঘাতী।

বদর ও আল-হাশুশ নামে যে মসজিদ দু’টোতে হামলা করা হয়েছে সেগুলো ছিল ‘হুতি’ নামে পরিচিত, শিয়া মুসলিম বিদ্রোহী জনগোষ্ঠীর প্রার্থনা স্থল।

শুক্রবারের জুম্মা নামাজের সময় চালানো এই হামলায় হুতি গোষ্ঠীর অন্যতম ধর্মীয় নেতা আল-মুরতাদা বিন জায়েদ আল-মাহাতওয়ারি নিহত হয়েছেন।

হামলার পরপরই শহরের হাসপাতালগুলোতে আহতদের ভিড় জমে। চিকিৎসা দিতে গিয়ে হাসপাতালগুলোতে এখন রক্তের জন্য হাহাকার চলছে বলে জানিয়েছেন হুতিদের একজন নেতা লাওয়াই আল-শামি।

তিনি জানান, একজন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী নিজের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দেবার পর, মানুষ যখন সেটি নিয়েই হতভম্ব, তখন সেই সুযোগে দ্বিতীয় হামলাকারী মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করে। অন্য আরেকজন আত্মঘাতী ইয়েমেনের উত্তরের শহর সাদা’র একটি মসজিদকে লক্ষ করে বোমা হামলা করলেও সেখানে শুধু ওই আত্মঘাতীই নিহত হয়েছেন।

ইয়েমেন আল-কায়েদার শক্তিশালী ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত।

তবে, সম্প্রতি সেখানে ইসলামিক স্টেট-ও আধিপত্য বিস্তার করতে শুরু করেছে। গত নভেম্বরে ইয়েমেনে একটি শাখা চালু করেছে ইসলামিক স্টেট।– বিবিসি