জাতীয় মারামারির আশঙ্কা: এমাজউদ্দীন

SHARE

bcw15চলমান সংকটের সমাধান না হলে জাতীয় পর্যারয়ে মারামারির আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক এমাজউদ্দীন। আর তাতে বিলীন হতে পারে রাষ্ট্রের স্বকীয় ‘অস্তিত্ব’।

রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাব কনফারেন্স লাউঞ্জে বাংলাদেশ সিভিল রাইটস্ সোসাইটি আয়োজিত ‘চলমান পরিস্থিতি: উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী যদি দেশের চলমান সংকট সমাধানের জন্য কোনো ধরনের উদ্যোগ না নেন, তবে খুব শিগগির জাতীয় পর্যায়ে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে পারে। তাতে রাষ্ট্রের অস্তিত্ব বিলীন হতে পারে।”

এমাজউদ্দীন বলেন, “চলমান সংকট একটি রাজনৈতিক সংকট, এর সমাধান রাজনৈতিকভাবেই হতে হবে। যদি না হয় তবে খুব বেশি দূরে নয়, কাছাকাছি জাতীয় পর্যায়ে মারামারির আভাস দেখছি। পাকিস্তান-ভারতের স্বাধীনতার জন্য যে রকম মারামারি হয়েছিল, সেই রকম একটি পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়ে রাষ্ট্রের অস্তিত্ব বিলীন হতে পারে।”

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে সাবেক এই উপাচার্য্ বলেন, “ইতিহাসের দিকে তাকিয়ে দেখুন, মুসোলিনি কীভাবে মারা গেছে। তার মৃত্যুর খবর কেউ জানে না। হিটলারের পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে দেখেন। আপনার আশপাশের লোকগুলোর কথা চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিন। তারা কেউ আপনার পাশে থাকেনি। আগামীতেও থাকবে না।”

জাতিসংঘের বিশেষ দূত তারানকোকে অত্যন্ত প্রভাশলী একজন কর্মকর্তা হিসেবে উল্লেখ করে এমাজউদ্দীন বলেন, “তারা (জাতিসংঘ) লোক চিহ্নিত করতে ভুল করেন না। তারানকো যদি বাংলাদেশের জন্য শান্তিরক্ষী বাহিনীর বার্তা নিয়ে আসেন, তবে সেটা আমাদের জন্য ভালো হবে না।”

সভায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী সুস্থ থাকলে কিছু ভালো কথাও বলেন, তখন শুনতেও ভালো লাগে। কিন্তু মাঝেমধ্যে এমন কিছু কথা বলেন, তখন সমস্যার সৃষ্টি হয়। তিনিই বর্তমান সমস্যার সৃষ্টি করেছেন, তাকেই এর সমাধান করতে হবে।”

জাফরুল্লাহ বলেন, “দেশে যে হারে খুন-গুম-অপহরণ হচ্ছে তাতে মানবাধিকার চরমভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে।” এ ব্যাপারে উচ্চ আদালতকে আরো সক্রিয় হতে ও ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান।

সভায় আরো বক্তব্য দেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্পধারার প্রেসিডেন্ট ডা.  এ কি উএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শওকত মাহমুদ, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রুহুল আমিন গাজী, ডিইউজের সভাপতি আবদুল হাই শিকদার প্রমুখ।