রাজনীতি? একেবারে না

SHARE

nashiruddinনতুন ছবি ‘ডার্টি পলিটিক্স’-এ নাসিরুদ্দিন শাহ রয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল হিসেবে৷ তবে রোলটা হুবহু কেজরিওয়াল নয় বলে জানিয়ে অভিনেতা বলেন, ‘আসলে আমরা একটা আইডিয়ালাইজড ভার্সানের উপর কাজ করেছি৷ আমরা এই আশা নিয়ে ছবিটা তৈরি করেছি যে উনি ওনার মিশনে সফল হবেন৷’

এবার কি তাহলে নাসিরকে সত্যি সত্যি রাজনীতিতেও অংশ নিতে দেখা যাবে অচিরেই?

নাসিরের জবাব, ‘একজন অভিনেতার রাজনীতিতে যোগ দেওয়া উচিত নয়৷ একজন ভালো অভিনেতা কখনোই একজন ভালো রাজনীতিক হতে পারেন না৷’ উদাহরণ দিয়ে নাসির বলেন, ‘ধরা যাক রোনাল্ড রেগনের কথাই৷ তিনি একজন বাজে অভিনেতা ছিলেন৷ কিন্ত্ত রাজনীতিক হিসেবে সফল৷ তুমি যেটা ভালো করে পারো সেটাই মন দিয়ে করো৷’

আজকাল ছবির প্রচার নিয়ে যে রকম বাড়াবাড়ি করা হয় সেটা একেবারেই ভালো চোখে দেখছেন না নাসির৷ বললেন, ‘আমি ঠিক প্রমোশনে বিশ্বাসী নই৷ ছবি কতোখানি প্রচার করা হলো তার উপর ছবির সাফল্য কেন নির্ভর করবে? ছবি নিজের যোগ্যতায় সফল হবে, তবে না ! প্রায় সমস্ত ছবিতেই তো স্টার রয়েছেন৷ কিন্ত্ত তার মানে তো এই নয় যে সব দর্শকই সেই ছবি দেখতে ছুটবেন৷ প্রমোশন একটি সফল ছবিকে আরও খানিক সফলতার দিকে এগিয়ে দেয় মাত্র৷ আমি প্রমোশন একেবারেই এনজয় করি না৷ ছবিটার নিজেরই যদি নিজের কথা বলার শক্তি না থাকে, তাহলে প্রমোট করে লাভ কী? আর প্রমোট করলেই যে লোকে সে ছবি দেখতে ছুটবেন এমন গ্যারান্টিও তো কেউ দিচ্ছে না! আমি যখন অডিয়েন্সের অংশ ছিলাম, কলেজে পড়তাম, তখন তো ছবি আসার অনেক আগেই ঠিক করে ফেলতাম কোন ছবি দেখবো, কোনটা দেখবো না৷’

তার নতুন কয়েকটি ছবি প্রসঙ্গে নাসির বলছেন, ‘আমি দু’টো ছবি করেছি৷ কিছুদিন আগেই তৃতীয় ছবির কাজ শেষ করলাম৷ সেটা একেবারেই একটা কমার্শিয়াল ছবি৷ ছবিগুলো বেশ ভালো৷’ নাসিরের হাতে একটা পাকিস্তানি ছবিও রয়েছে৷ অভিনেতা বলছেন, ‘আমি যতবার ওদেশে গিয়েছি, ওখানকার মানুষ আমাকে সাদর অভ্যর্থনা জানিয়েছেন৷এটা খুব দুঃখের, লজ্জার যে আমরা দুটো দেশ পরস্পরের রাজনীতি বিষয়ে আদান প্রদান করতে পারি না!’

ছবিতে নাসির, অনুপম খের, ওম পুরির মতো বড় মাপের অভিনেতারা রয়েছেন৷ তারা ‘ডার্টি পিকচার’ ছবিতে মল্লিকা শেরাওয়াতের অভিনয়ের প্রশংসা করেছেন খোলামনে, সে যতোই তাকে নানারকম কথা বলা হোক না কেন৷