গরু জবাই নিষিদ্ধ করায় বলিউডে নিন্দার ঝড়

SHARE

boli7ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যে গরু জবাই, গরুর গোশত বিক্রি ও খাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে প্রণীত আইন পাশ হওয়ায় নিন্দার ঝড় উঠেছে মুম্বাইয়ের ফিল্ম ইন্ড্রাস্টি বলিউডে। বলিউডের অসংখ্য তারকা নিজেদের টুইটার একাউন্টে বিভিন্ন বার্তা পোস্ট করে এর বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।

গত মঙ্গলবার দেশটির প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জি এ সংক্রান্ত বিলে সই করার পর তা আইনে পরিণত হয়।

বলিউডের সাবেক তারকা অভিনেত্রী রাভিনা ট্যান্ডন বলেন, এ ব্যাপারে আমার একমাত্র বক্তব্য হল- গরুর মাংস খাওয়া না খাওয়ার ব্যাপারটি ব্যাক্তিগত পছন্দ-অপছন্দের বিষয়। এ ব্যাপারে বিধি-নিষেধ আরোপ করে কোনো আইন করা একদমই উচিৎ হয়নি।

ভিশাল দাদলানি বলেন, আমি নিজে একজন সবজিভোজি। ফলে এই আইন আমার উপর কোনো প্রভাব ফেলতে পারবে না। কিন্তু যে দেশের ৩০% মানুষ গরুর মাংস খায় সে দেশে পছন্দের স্বাধীনতা বজায় থাকাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু।

উদয় চোপড়া লিখেছেন, গরু জবাই নিষিদ্ধে লাল মাংস খাওয়া কমবে। তা হয়তো স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। কিন্তু এর মধ্য দিয়ে ধর্মতাত্বিক রাষ্ট্র কায়েমের দিকেও আরেক ধাপ এগিয়ে গেলাম আমরা!

সুমনা চক্রবর্তী বলেন, এটা ছাড়াও ধর্ষণ, দারিদ্র, দুর্নীতি এবং অবকাঠামো উন্নয়নের মতো অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু রয়েছে যেগুলোর আশু সমাধান দরকার।

ভীর দাস বলেন, প্রিয় সরকার গরুর মাংসের পাশাপাশি দাঁতও নিষিদ্ধ করুন!

কৃষ্ণা ডিকে বলেন, এই আইন আপনাকে প্রভাবিত করুক বা না করুক এটা স্পষ্টতই নাগরিক স্বাধীনতার উপর অযাচিত হস্তক্ষেপ।

অনির বলেন, মনে হচ্ছে ভারতের সংবিধান বুঝি বা আর সাংস্কৃতিক বৈচিত্র বজায় রাখার নিশ্চয়তা দিবে না। আর গরুর মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ করাটা তারই একটি দুঃখজনক নজির!

এছাড়া ফারহান আখতার, আয়ুষ্মান খুররানা, নিমরত কৌর, আরতি ছাবরিয়া, সিদ্ধার্থ মাল্লা, শ্রুতি শেঠ, প্রিতিশ নন্দী, মিলাপ জাভেরি, পুনিত মালহোত্রা, গৌরভ কাপুর, অনুভব সিনহা, শিরিষ কুন্দরের মতো অসংখ্য বলিউড তারকা এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।

১৯৯৫ সালে মহারাষ্ট্র রাজ্যের বিজেপি-শিবসেনা সরকার প্রথম গরু জবাই নিষিদ্ধ করে আইন পাস করেছিল। মহারাষ্ট্র অ্যানিম্যাল প্রিজারভেশন (সংশোধন) বিলটি ১৯৯৬ সালের জানুয়ারি মাসে প্রেসিডেন্টের দপ্তরে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু গত ১৯ বছরে ভারতের কোনো প্রেসিডেন্ট বিলটিতে সই না করায় তা আইনে পরিণত হয়নি।