কর্মী থেকে মালিক

SHARE

selim7মাত্র তিন বছর কঠোর পরিশ্রম করে দারিদ্র্যকে জয় করে কর্মী থেকে গার্মেন্ট মালিক হয়েছেন নেত্রকোনার এক যুবক। তিনি হচ্ছেন সদর উপজেলার অনন্তপুর গ্রামের মুশফিকুর রহমান সেলিম। জেলা শহরের বনুয়াপাড়ায় গড়ে তুলেছেন শিমু অ্যান্ড সাজ্জাদ ফ্যাশনওয়ার নামে তৈরি পোশাক প্রতিষ্ঠান। চাকরির সামান্য এক মাসের বেতনের টাকা পুঁজি নিয়ে নিজের এলাকায় এমটি সুইং মেশিন কিনে ২০১১ সালে স্ত্রী সাজেদা বেগমকে সঙ্গে নিয়ে পথচলা শুরু তার। জেলা শহরের বনুয়াপাড়ায় নেত্রকোনা-মদন সড়কের পাশে প্রতিষ্ঠা করেন শিমু অ্যান্ড সাজ্জাদ ফ্যাশনওয়ার। ধীরে ধীরে তার পথচলা। এখন সেখানে ২৫ জন কর্মী কাজ করছেন। তাদের মধ্যে ২২ জন নারী এবং ৩ জন পুরুষ। ওই গার্মেন্ট থেকে উৎপাদিত পোশাক দেশের গণ্ডি পেরিয়ে সুদূর ইউরোপের বিভিন্ন দেশ পর্যন্ত পেঁৗছেছে। মুশফিকুর রহমান জানান, তাকে প্রতিষ্ঠানটি দাঁড় করাতে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করেছে ঢাকার আহছানিয়া মিশন, নেত্রকোনা শাখা। প্রথমে ৫০ হাজার টাকা ক্ষুদ্রঋণ প্রদান করে তারা। দ্বিতীয় কিস্তিতে ওই ঋণ বাড়িয়ে ৮০ হাজার এবং পরবর্তী সময়ে এক লাখ টাকা দেওয়া হয়। মুশফিকুর রহমান ঢাকায় তৈরি পোশাক কারখানায় সামান্য কর্মী হিসেবে কাজ করতেন। পরে প্রডাকশন ম্যানেজার হিসেবে একাধিক গার্মেন্ট ফ্যাক্টরিতে কাজ করে অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। আহছানিয়া মিশনের ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্পের নেত্রকোনা সদর এরিয়া ব্যবস্থাপক মো. রুহুল আমীন জানান, গ্রামীণ দরিদ্র উদ্যোক্তাদের কার্যক্রমে ক্ষুদ্রঋণ সহায়তা সদর উপজেলা, বারহাট্টা ও পূর্বধলায় কার্যক্রম চলছে। মুশফিকুর রহমান সেলিম তাদের প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে কাজ ভালোভাবেই করছেন।