ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতের বিচারাধীন নেতাদের বাঁচাতে যদি আন্দোলনের লক্ষ্য হয়, তবে ১৬ কোটি মানুষ তা প্রতিহত করবে।
শনিবার রাজধানীর হোটেল লেক শো’রে রিজিওনাল এন্টি টেরোরিস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট আয়োজিত সহিংসতা, জঙ্গিবাদ, সংলাপ ও বাস্তবতা শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আরএটিআরআই’র নির্বাহী পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) একে মোহম্মদ আলী শিকদার। আলোচনা সঞ্চালনার দায়িত্বে আছেন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জিনাত হুদা।
আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, আমাদের চেতনার ২১ ফেব্রুয়ারির দিনেও অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। শহীদ মিনারেও বোমা ছোঁড়া হচ্ছে।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, কোন স্বার্থে শিক্ষা ব্যবস্থাকে বিপর্যয়ের মধ্যে ফেলা হয়েছে? সাধারণ মানুষকে কেন মারা হচ্ছে? এর উত্তর আমাদের জানা আছে। এখানে সম্পাদকেরা আছেন, তারা জানেন সংবাদের পেছনে সংবাদ থাকে। এজেন্ডোর পেছনে এজেন্ডা থাকে।
ঢাবি উপাচার্য বলেন, আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। ৭ মার্চের ভাষণে অনুপ্রেরণা পাই। আজ আমরা কঠিন অবস্থা অতিক্রম করছি। ৭ মার্চও কঠিন অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলাম। সবার বক্তব্যই এক জায়গায় রয়েছে। সন্ত্রাস, সহিংসতা নাকি সংলাপ। সন্ত্রাসের কাছে কি আপনি মাথানত করবেন। যারা পেট্রোল বোমা ছুঁড়ছে, এর পেছনে অর্থায়ন করছে, মদত দিচ্ছে তাদের সঙ্গে সংলাপ করে কি আপনি সামনের দিকে যেতে পারবেন?
গোলটেবিলের আলোচক প্যানেলে আছেন- বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. হারুন অর রশিদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মিজানুর রহমান, ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির উপাচার্য ড. মুহাম্মদ সামাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থ অ্যান্ড ইনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স ডিপার্টমেন্টের ডিন অধ্যাপক মাকসুদ কামাল প্রমুখ।
কূটনীতিক ও রাজনীতিবিদদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ওয়ালিউর রহমান, সাবেক মন্ত্রী জি এম কাদের, জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক রকিবুল হাসান, সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান, আবু হেনা, শহীদুল হক জামাল, গোলাম মাওলা রনি ও বাসদের প্রেসিডিয়াম সদস্য রাজেকুজ্জামান রতন।
এই গোলটেবিল আলোচনার মিডিয়া পার্টনার দেশের সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন, বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এশিয়ান টিভি, একাত্তর টেলিভশন ও এসএ টিভি।