অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও জঙ্গিবাদমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ় অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে শনিবার রাজধানীসহ সারাদেশে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালিত হচ্ছে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণের ৪৪তম বার্ষিকীর এ দিনটিতে ভোর ছয়টায় বঙ্গবন্ধু ভবন ও দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি শুরু হয়।
সকাল সাতটায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এ সময় তিনি কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। পরে আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে দলীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর পর সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য স্থানটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। সেখানে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের ঢল নামে।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের ব্যানারে উপস্থিত হাজার হাজার মানুষ জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান। তারা ‘জামায়াত-শিবির রাজাকার, এ মুহূর্তে বাংলা ছাড়’, ‘ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, রাজাকারের ফাঁসি চাই’, ‘মুজিবের বাংলায় খুনিদের ঠাঁই নাই’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, কৃষক লীগ, মৎস্যজীবী লীগ, হকার্স লীগ, তাঁতী লীগ, মুক্তিযোদ্ধা জনতা লীগ, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ, মোটরচালক লীগ, ওলামা লীগ, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, জয়বাংলা সাংস্কৃতিক ঐক্যজোট, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদ, বঙ্গবন্ধু আদর্শ মূল্যায়ন ও গবেষণা সংসদসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায়।