বিএনপি ও জামায়াতকে নির্মূল করতে সরকার সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) একাংশের সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজী।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি এ অভিযোগ করেন। সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ ওই সম্মেলনের আয়োজন করে।
লিখিত বক্তব্যে গাজী বলেন, ‘সরকার বিএনপি ও জামায়াতের ওপর স্টিমরোলার চালাচ্ছে। গত দুই মাস ধরে সরকার বিএনপির কেন্দ্রীয়, মহানগর ও জেলা কার্যালয়সহ খালেদা জিয়ার কার্যালয় অকার্যকর করে রেখেছে।’
সংবাদ সম্মেলনে লেখক অভিজিৎ রায়ের হত্যার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান গাজী। হত্যাকারীদের অবিলম্বে বিচারের দাবি জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আদালতগুলো সরকারের আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠান হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফর উল্ল্যাহ চৌধুরী।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার বিচারই যদি হবে তবে বকশীবাজার মাঠে কেন? ওখানে তো সেনা আইনে বিডিআর বিদ্রোহের বিচার হয়। খালেদা জিয়ার বিচার কেন সেখানে হবে? আসলে সরকার এর মাধ্যমে একটি ভীতি ছড়ানোর চেষ্টায় আছে।
মোবাইলে কথোপকথন ফাঁসের পর ডাকসু থেকে মাহমুদুর রহমান মান্নার নাম মুছে ফেলার নিন্দা জানান তিনি। তিনি বলেন, অপরাধ করেছে ছাত্রলীগ। একজন মোবাইলে কথা বলতেই পারে। তাই বলে ছাত্রলীগ তার নাম মুছে দিতে পারে না। বাকশাল গঠনের জন্য আমরা শেখ মুজিবুর রহমানের নাম মুছে ফেলতে পারি না। কারণ মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান ছিল। তেমনি ছাত্র আন্দোলনে মান্নারও অবদান আছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ উপাচার্য আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার, ডক্টর এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) সহ-সভাপতি আবদুস সালাম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. শামসুল আলম প্রমুখ।