অভিজিতের মরদেহ ঢাকা মেডিকেলে দান

SHARE

ovijitমুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা অভিজিৎ রায়ের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের পাঠদানের কাজে দান করা হয়েছে। অভিজিতের শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী রোববার দুপুরে তার মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে তার মরদেহে সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা জানান।

অভিজিতের বাবা শিক্ষাবিদ অজয় রায় রোববার দুপুর একটা সাত মিনিটে আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এ্যানাটমি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক শামীম আরার কাছে তার মরদেহ হস্তান্তর করেন। এ সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা. মোহাম্মদ ইসমাইল খান উপস্থিত ছিলেন।

ঢামেক হাসপাতালের এ্যানাটমি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক শামীম আরা জানান, মরদেহ গ্রহণের পর তিন মাস ফ্রিজআপ করে রাখা হবে। পরে শিক্ষার্থীরা গবেষণার কাজে ব্যবহার করতে পারবে।

সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গ থেকে লাশবাহী একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে অভিজিৎ রায়ের মরদেহ প্রথমে বুয়েটে নিয়ে যাওয়া হয়।

এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে সকাল সাড়ে দশটা থেকে অভিজিৎ রায়ের মরদেহে শেষ শ্রদ্ধা জানায় ছাত্র, লেখক, শিক্ষক, সাংস্কৃতিক কর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তার মরদেহ মগবাজারে অজয় রায়ের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে দুপুর একটায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। এ সময় অভিজিতের বাবা শিক্ষাবিদ অজয় রায়সহ তার পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বইমেলা থেকে ফেরার পথে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে টিএসসির সামনে দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে লেখক দম্পতি অভিজিৎ রায় ও রাফিদা আহমেদ বন্যাকে (৩০)।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দিনই রাত ১০টা ২০ মিনিটে অভিজিৎ রায় মারা যান। গুরুতর আহত বন্যা চিকিৎসাধীন আছেন।

এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শুক্রবার সকালে অজ্ঞাতসংখ্যক আসামী শাহবাগ থানায় মামলা করেছেন তার বাবা শিক্ষাবিদ ড. অজয় রায়।