অনিয়ম-দুর্নীতি প্রশ্নে তার সরকার কাউকেই ছাড় দেয়নি, দেবেও না, এই ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, জাতীয় জীবনের সর্বক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করে সাধারণ মানুষের ভাগ্যোন্নয়নই তার সরকারের মূল লক্ষ্য।
রাজধানীর মিরপুরে সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজের গ্রাজুয়েশন ডিগ্রি প্রদান অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, দেশের সর্বত্র ডিজিটাল প্রযুক্তির বিস্তার ঘটিয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হচ্ছে। আমরা ২০২১ সালের আগেই বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার লক্ষে কাজ করে যাচ্ছি।
বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ঐতিহ্যবাহী সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজ থেকে ‘পিএসসি’ ডিগ্রি অর্জন সশস্ত্র বাহিনীর যে কোন অফিসারের জন্যই গৌরবের বিষয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেনাবাহিনীর ৩৯টি, নৌ বাহিনীর ৩৩টি এবং বিমান বাহিনীর ৩৫টি স্টাফ কোর্স সাফল্যের সঙ্গে সম্পন্ন হয়েছে, ৩৭টি বন্ধুপ্রতীম দেশের ৮৬০জন অফিসারও এ কলেজ থেকে কোর্স সম্পন্ন করে গ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি অর্জন করেছেন যা স্টাফ কলেজের জন্য এটি একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য ।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের অধীনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শান্তিরক্ষা, গণতন্ত্রে উত্তরণ, সামাজিক উন্নয়ন, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ব্যবস্থাপনাসহ পুনর্গঠন কার্যক্রমে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যগণ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখছেন। তাদের সাফল্যে সারাবিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরও উজ্জল হয়েছে, বলেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, আমাদের সম্পদ সীমিত। আর সে সীমিত সম্পদ দিয়েই আমরা একটি যুগোপযোগী, দক্ষ ও শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তুলতে চাই। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমাদেরকে উন্নত প্রশিক্ষণ ও অনুশীলনের ওপর আরও বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।
সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়ন ও কল্যাণের জন্য যা যা করার দরকার তার সরকার সবই করবে বলেও ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী।