পালিয়ে থাকতে হয়েছিল ‘দেশটা তোমার বাপের নাকি’ গায়িকাকে

SHARE

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে বেগবান করতে যে কয়েকটি গান অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিল, তার মধ্যে অন্যতম ‘দেশটা তোমার বাপের নাকি’। সেই মুহূর্তে মৌসুমী চৌধুরীর গাওয়া এ গানটি সারা দেশের মানুষদের মধ্যে প্রেরণা জুগিয়েছে, সেইসঙ্গে পেয়েছে জনপ্রিয়তাও।

গানটি গাওয়ার পর এই গায়িকাকে পালিয়ে থাকতে হয়েছিল বলে জানান মৌসুমী। গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘গানটা রেকর্ড করা হয়েছিল ২০২৩ সালে।
গানটি লিখেছেন আমার গুরু ইথুন বাবু। রাজশাহীতে বিএনপির সমাবেশে গানটি গেয়েছি, এরপর গানটি নিয়ে পুরো দেশে ঘুরেছি। স্বভাবতই ফ্যাসিস্ট সরকারকে নিয়ে গানটা করা। সে ক্ষেত্রে জীবনের বড় ঝুঁকি নিয়ে ফেলেছিলাম।
যার কারণে আমাকে বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে থাকতে হয়েছে। ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবরের পর সবচেয়ে বেশি সময় ধরে পালিয়ে ছিলাম। তখন অনেক হুমকি পেয়েছিলাম, বাসা পরিবর্তন করতে হয়েছে। গ্রামের বাড়ি থেকেও অনেক হুমকি পেয়েছিলাম।
আমি বলব, সেই সময় থেকে এখন অনেক ভালো আছি। আমরা আরও ভালো থাকতে চাই।’

মৌসুমী চৌধুরী আরো বলেন, ‘জুলাইয়ের আন্দোলনে গানটা ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। ১৬ জুলাই আবু সাঈদের যখন মৃত্যু হয়, তখন খুব কষ্ট পেয়েছিলাম। শিক্ষার্থীরা তো আমাদের ভবিষ্যৎ।
ভবিষ্যৎ ঝরে পড়ে গেলে, এই খারাপ লাগাটা অন্য রকম। তখন পল্টনে আমরা আন্দোলন করছিলাম। একটা কাজে আমি যমুনা ফিউচার পার্কে গিয়েছিলাম। ওখানে আন্দোলনে আমার গানটা গাইছিল। শুনে খুব ভালো লেগেছিল। ৩ আগস্ট রাতেও রামপুরায় ছিলাম আমরা। ওই দিন ‘ক্ষমতা এন্টারপ্রাইজ’ নামে একটা গানও ছেড়েছিলাম। ৫ আগস্ট ঘুম থেকে উঠেই আনন্দের খবরটা পেয়েছিলাম। আনন্দমিছিলে বেরিয়ে পড়েছিলাম।’

চলতি সপ্তাহে আরেকটি নতুন গান করেছেন মৌসুমী। কয়েক মাস ধরেই দেশ নানা ঝামেলা, মারামারির মধ্যে যাচ্ছে। সমসাময়িক বিষয়গুলো নিয়েই তিনি করেছেন ‘এ যুদ্ধ কবে হবে শেষ’ শিরোনামের এ গান।