অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের কঠিন বাইশগজে এবারের ক্রিকেট বিশ্বযুদ্ধ। ছোট-বড়-মাঝারি শক্তি মিলিয়ে মোট ১৪দলীয় আসর। কিন্তু কারা দৌড়োবেন বিশ্বজয়ের জোরালো দাবিদারের তকমা গায়ে চাপিয়ে! ফেভারিট দলগুলির সম্ভাবনার সন্ধানে এই প্রতিবেদন। আজ ৩য় পর্বে থাকছে বিশ্বকাপের সবচেয়ে ট্র্যাজিক টিম ইংল্যান্ড।
ইংল্যান্ডের জন্য বিশ্বকাপ এক চরম হতাশার আসর। ১৯৭৫, ১৯৭৯, ১৯৮৩, ১৯৯২- মোট চারবার ফাইনালে উঠেও বারবার দূরে সরে গিয়েছে মহার্ঘ মুকুট জয়ের স্বপ্ন। সেই সুদীর্ঘ যন্ত্রণার হাত থেকে মুক্তির খোঁজেই ২০১৫ বিশ্বকাপে যাত্রা শুরু করবেন ফিন, অ্যান্ডারসন, মরগান, ব্রডরা।
বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়ান কন্ডিশনে নিজেদেরকে ভালোভাবে ঝালিয়ে নিতে পেরেছে ইংল্যান্ড। ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে গেলেও ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগেই যথেষ্ট ভারসাম্যের নিদর্শন রেখেছে কোচ পিটার মুরসের দল। বিশ্বকাপে গ্রুপ-এ’তে ইংল্যান্ডের প্রতিপক্ষ দলগুলি হল অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। মেলবোর্নে ১৪ই ফেব্রুয়ারি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিজেদের বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে ইংলিশরা।
শক্তি: সবুজ বাউন্সি উইকেটে সেরাটা মেলে ধরার দক্ষতা। তাছাড়া দলের তিন-চারজন ক্রিকেটার ধারাবাহিক ভাবে ফর্মে রয়েছেন। ব্যাটিং এবং বোলিং- দুই বিভাগেই শক্তির গভীরতাও রয়েছে।
দুর্বলতা: একটু বেশি তারুণ্য নির্ভর দল। অ্যালিস্টার কুক, বেন স্টোকস বিশ্বকাপ টিমে জায়গা না পাওয়ায় অভিজ্ঞতার ঘাটতিতে ভুগতে হতে পারে।
কাজের ঘোড়া: ইয়ান মরগান ও ইবেল ব্যাট হাতে যেকোন সময় ম্যাচের রং বদলে দিতে পারেন। অলরাউন্ড দক্ষতায় নায়ক হয়ে উঠতে পারেন তরুণ মঈন আলীও। আর ব্রিটিশ বোলিংকে সামনে থেকে পথ দেখানোর জন্য রয়েছেন জেমস অ্যান্ডারসন ও স্টুয়ার্ট ব্রডের মতো দুই অভিজ্ঞ পেসার।