আজও রাজধানীর ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেটে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হচ্ছে।
রাজধানীর গুলিস্তানের ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-২ এ নকশাবহির্ভূত ৯১১টি অবৈধ দোকান উচ্ছেদ অভিযানে নেমেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। মঙ্গলবার থেকে শুরু হয় এ অভিযান।
আজ বুধবার অভিযান নিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, এতদিন ধরে ফুলবাড়িয়ায় ভেঙে ফেলা দোকানগুলো চালানোয় সিটি করপোরেশনের যাদের সংশ্লিষ্টতা ছিল তাদেরও অপসারন করা হবে।
তিনি বলেন, ভালো কাজে বাধা আসবেই। খাল থেকে শুরু করে সিটি করপোরেশন সব জায়গা থেকেই বর্জ্য অপসারণ করা হবে। আগামী বর্ষার আগেই খালগুলো দখলমুক্ত ও পরিষ্কার করে সীমানাপ্রাচীরের কাজ শুরু করা হবে।
মঙ্গলবার দোকান উচ্ছেদের খবর শুনে সকাল থেকেই ব্যবসায়ী ও দোকানদাররা সড়কে নেমে বিক্ষোভ করতে থাকে। অভিযান শুরু করতে গেলে একপর্যায়ে পুলিশ ও ডিএসসিসির কর্মকর্তাদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে, কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে ব্যবসায়ী ও বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিয়ে অভিযান শুরু হয়।
ডিএসসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুজ্জামান, এএইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ ও তানজিলা কবির ত্রপার নেতৃত্বে বেলা ১১টার দিকে অভিযান শুরু করার কথা থাকলেও বাধার মুখে অভিযান শুরু করতে করতে দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের তথ্য অনুযায়ী ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-২ এ নকশা বহির্ভূতভাবে ৯১১টি দোকান গড়ে তোলা হয়েছে। মার্কেটটিতে ‘এ’ ব্লকে ১৭৬টি দোকান, ‘বি’ ব্লকে ১৭৬টি এবং ‘সি’ ব্লকে ১৭৯টিসহ মোট ৫৩১টি দোকান থাকার কথা। কিন্তু, নকশাবহির্ভূতভাবে ‘এ’ ব্লকে ৩০৮টি, ‘বি’ ব্লকে ২৯২টি এবং ‘সি’ ব্লকে ৩১১টি দোকান নির্মাণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, ডিএসসিসির মেয়র হিসেবে ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস দায়িত্ব নেয়ার পর এই বিপণিবিতানের নকশাবহির্ভূত দোকান এবং এর সার্বিক পরিস্থিতি জানতে একটি কমিটি গঠন করে দেন। সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলীকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের এই কমিটি বিপণিবিতানে নকশাবহির্ভূত ৯১১টি দোকান চিহ্নিত করে এবং সেগুলো উচ্ছেদের সুপারিশ করে।