‘কম মূল্যসহ নানা সুবিধার কারণে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন আনতে চুক্তি’

SHARE

কম দাম, সহজ সংরক্ষণ ব্যবস্থাসহ নানা সুবিধার কারণে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন আনতে চুক্তি করেছে সরকার।
একথা জানিয়েছেন কোভিড মোকাবিলায় গঠিত কারিগরি জাতীয় পরামর্শক কমিটির সভাপতি ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ।

করোনা প্রতিরোধে অক্সফোর্ডের এই ভ্যাকসিনটির তিন কোটি ডোজ পেতে ইতিমধ্যে ভারত ও বাংলাদেশের দুটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ সরকার।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভাবিত ভ্যাকসিন করোনা প্রতিরোধে গড়ে ৭০ শতাংশ কার্যকর বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবহারের জরুরি অনুমোদন পেতে খুব শিগগিরই আবেদন করবে তারা। করোনার সম্ভাব্য সব ভ্যাকসিনের মধ্যে এই ভ্যাকসিনটির দাম হতে পারে সর্বনিম্ন মাত্র তিন থেকে চার ডলার। এছাড়া মার্কিন কোম্পানি ফাইজার ও জার্মান কোম্পানি বায়োএনটেক তৈরি করোনার ভ্যাকসিনও কার্যকর বলে দাবি করা হয়েছে। তবে, ফাইজারের টিকাটির সংরক্ষণ ও পরিবহণ করতে হবে মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপামাত্রায়। যে অবকাঠামো বাংলাদেশসহ বিশ্বের অধিকাংশ দেশেরই নেই।

এদিকে, মর্ডানার তৈরি করোনার টিকা রেফ্রিজারেটরে ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ৩০ দিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যাবে। আর মাইনাস ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এটা সংরক্ষণ করা যাবে ৬ মাস পর্যন্ত।

অন্যদিকে, অক্সফোর্ডের তৈরি ভ্যাকসিনটি সাধারণ ফ্রিজেই সংরক্ষণ করা সম্ভব। এমনকি টিকা সংরক্ষণে অতি কম তাপমাত্রার প্রয়োজন নেই।