পরোক্ষভাবে পরাজয় মেনে নেয়ার আভাস দিলেন ট্রাম্প

SHARE

আনুষ্ঠানিকভাবে না হোক, পরোক্ষভাবে পরাজয় মেনে নেওয়ার একটা আভাস দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসে নিজের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ইঙ্গিত করতে গিয়ে তিনি বলেছেন, সামনে কে ক্ষমতায় থাকবে, তা কেউই জানে না; সময়ই সব বলে দেবে। গত শুক্রবার হোয়াইট হাউসের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এই মন্তব্য করেন তিনি।

গত ৩ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাইডেনের কাছে পরাজয় নিশ্চিত হওয়ার পর এটাই ছিল ট্রাম্পের প্রথম বক্তব্য। এদিকে আরিজোনার পর জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যেও জয় নিশ্চিত হয়েছে বাইডেনের। সব মিলিয়ে বাইডেনের প্রাপ্ত ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা দাঁড়াল ৩০৬। গতকাল শনিবার পর্যন্ত ট্রাম্প পেয়েছেন ২৩২টি। এ নিয়ে ৫৩৮টি ইলেকটোরাল ভোটের সব কটিরই ফল প্রকাশিত হলো। প্রেসিডেন্ট হতে প্রয়োজন ২৭০টি ইলেকটোরাল ভোট।

গত শনিবার বাইডেনের বিজয় নিশ্চিত হওয়ার পর এক সপ্তাহ পার হলেও আনুষ্ঠানিকভাবে পরাজয় মেনে নেননি ট্রাম্প। উল্টো ভোটের দিন থেকেই কারচুপির অভিযোগ করে আসছেন তিনি। তবে শুক্রবার প্রথমবারের মতো আভাস দিয়েছেন যে হোয়াইট হাউসে ক্ষমতার পালাবদল ঘটতে পারে।

সংবাদ সম্মেলনে করোনা মহামারি ও সম্ভাব্য লকডাউন নিয়ে কথা বলেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘সত্যিকারার্থে আমরা লকডাউনে যাব না। আমি কখনো লকডাউনে যাব না, এই প্রশাসনও কখনো লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেবে না। কিন্তু ভবিষ্যতে কোন প্রশাসন ক্ষমতায় থাকবে, তা কেউই বলতে পারে না; সময়ই সব বলে দেবে।’

ভ্যাকসিনের ব্যাপারে ট্রাম্প জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সব মানুষ আগামী এপ্রিলের মধ্যেই করোনার টিকা পেতে পারে। এর আগেই অবশ্য জরুরি ভিত্তিতে কিছু ভ্যাকসিন বাজারে ছাড়া হবে। তবে নিউ ইয়র্ক শহরে কোনো ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হবে না বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। নিউ ইয়র্কের মেয়রের সমালোচনা করে ট্রাম্প বলেন, ‘যারা টিকা তৈরি করছে, তাদের প্রতি অ্যান্ড্রু কুমোর আস্থা নেই।’

তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে এক সাক্ষাৎকারে কুমো বলেছেন, ‘ভ্যাকসিন কিংবা এর উৎপাদক প্রতিষ্ঠানের প্রতি নিউ ইয়র্কের মানুষের আস্থার ঘাটতি নেই। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন যে পদ্ধতিতে টিকার অনুমোদন দিচ্ছে, তার প্রতি জনগণের ভরসা নেই।’

এদিকে ১৯৯২ সালের পর প্রথমবারের মতো জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জয় পেয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে সেখানকার ১৬টি ইলেকটোরাল ভোট বাইডেনের খাতায় যোগ হলো। অন্যদিকে নর্থ ক্যারোলাইনায় জয় নিশ্চিত হয়েছে ট্রাম্পের। সেখানকার ১৫টিসহ ট্রাম্পের ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৩২।

জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারদলের সদস্যরা। সেখানে বাইডেন যত ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন, পুনরায় ভোটগণনা হলেও সেই ব্যবধান পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। মূলত এ জন্যই মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।