আরো ৩২ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ২,৬১১

SHARE

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণে আরো ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন শনাক্ত হয়েছেন দুই হাজার ৬১১ জন। এ নিয়ে দেশে করোনায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে তিন হাজার ৩৬৫ জন। আর সব মিলিয়ে শনাক্ত হয়েছেন দুই লাখ ৫৫ হাজার ১১৩ জন।

আজ শনিবার (৮ আগস্ট) করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সরকারি বুলেটিনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বুলেটিন প্রকাশে অংশ নেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

ডা. নাসিমা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণে দেশে আরো ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এঁদের ২৫ জন পুরুষ এবং ৭ জন নারী। এঁদের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ১ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৪ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১২ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১০ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৪ জন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ১ জন। এ নিয়ে দেশে করোনায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে তিন হাজার ৩৬৫ জনের।

এ পর্যন্ত যাঁরা মৃত্যুবরণ করেছেন, তাঁদের মধ্যে পুরুষ দুই হাজার ৬৫৫ জন এবং নারী ৭১০ জন। আর বয়স বিবেচনায় এ পর্যন্ত যাঁরা মৃত্যুবরণ করেছেন- বয়স ০ (শূন্য) থেকে ১০ বছরের মধ্যে ১৮ জন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ৩৩ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৮৮ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ২১৪ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৪৬৬ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৯৬৫ জন এবং ষাটোর্ধ্ব এক হাজার ৫৮১ জন।

জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৪ জন, খুলনা বিভাগের ৫ জন, রাজশাহী বিভাগের ৪ জন, বরিশাল বিভাগের ১ জন এবং সিলেট বিভাগের ২ জন। হাসপাতালে মারা গেছেন ৩১ জন এবং বাসায় ১ জন।

বিভাগ অনুযায়ী এ পর্যন্ত যারা মৃত্যুবরণ করেছে তারা হলো- ঢাকা বিভাগে এক হাজার ৬১৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৭৯৮ জন, রাজশাহী বিভাগে ২০৯ জন, খুলনা বিভাগে ২৫২ জন, বরিশাল বিভাগে ১৩২ জন, সিলেট বিভাগে ১৫৮ জন, রংপুর বিভাগে ১৩২ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৭১ জন।

এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে এক হাজার ২০ জন। এ নিয়ে দেশের করোনা সংক্রমণ থেকে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে এক লাখ ৪৬ হাজার ৬০৪ জন।

ডা. নাসিমা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১১ হাজার ৫২৯টি। একই সময়ে আগের নমুনাসহ পরীক্ষা হয়েছে ১১ হাজার ৭৩৭টি। এর মধ্যে করোনা রোগী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে দুই হাজার ৬১১ জনকে। এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে দুই লাখ ৫৫ হাজার ১১৩ জন। আর এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১২ লাখ ৪৯ হাজার ৫০৭টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকাসহ সারা দেশের ৮৪টি পরীক্ষাগার থেকে পাওয়া তথ্য থেকে শনাক্তের এই সংখ্যা জানা গেছে।

আইসোলেশন প্রসঙ্গে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে আরো ৮৬৪ জনকে। একই সময়ে আইসোলেশন থেকে ছাড়া পেয়েছে ৪৯০ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে গেছে ৫৬ হাজার ৩৯ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশন থেকে ছাড়া পেয়েছে ৩৭ হাজার ১৪ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছে ১৯ হাজার ২৫ জন।

কোয়ারেন্টিন প্রসঙ্গেও তথ্য দেওয়া হয় বুলেটিনে। বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিনে গেছে দুই হাজার ১৮৪ জন। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে গেছে মোট চার লাখ ৫০ হাজার ৩৩২ জন। ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়া পেয়েছে এক হাজার ৮৫১ জন। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়া পেয়েছে তিন লাখ ৯৭ হাজার ৩৮০ জন। ছাড়ের পর বর্তমানে হোম এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছে ৫২ হাজার ৯৪২ জন।

বুলেটিনে আরো জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য বাতায়ন এবং আইইডিসিআরের হটলাইনে কল এসেছে ৬৫ হাজার ৯২০টি। এ নিয়ে এ পর্যন্ত মোট ফোনকল এসেছে এক কোটি ৪৪ লাখ ৬২ হাজার ১৪২টি। এসব কলে সবাইকে স্বাস্থ্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

টেলিমেডিসিন সেবায় প্রতিদিন ৩৫ জন চিকিৎসক এবং ১০ জন স্বাস্থ্য তথ্য কর্মকর্তা দুই শিফটে মোট ৯০ জন টেলিমেডিসিনে করোনাসংক্রান্ত স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় তাঁদের স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করেছে চার হাজার ১১ জন। এ পর্যন্ত এক লাখ ৭৮ হাজার ২৬ জন এই সেবা গ্রহণ করেছে বলে জানানো হয় বুলেটিনে।