লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার জোংড়া ইউনিয়নের ধবলগুড়ি সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)’র ছয় সদস্য বাংলাদেশি এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে তরুণীকে লাঞ্চিত করার চেষ্টা করেছে। শনিবার দুপুর ১টার দিকে বিএসএফ অতর্কিতভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করে এ ঘটনা ঘটায়।
প্রত্যক্ষদর্শী, বিজিবি ও এলাকাবাসী জানায়, জোংড়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের এক বাংলাদেশি যুবক সীমান্তের ৮৮৬ নম্বর পিলারের কাছে ঘাস কাটতে গেলে বিএসএফ’র ছয় সদস্য তাকে ধাওয়া করে। তারা সবাই কুচবিহার ফালাকাটা-৩৫ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের ললোংগীবাড়ী ক্যাম্পের সদস্য ছিল। পরে ওই যুবককে না পেয়ে সীমান্ত লাগোয়া বাংলাদেশি সিরাজুল মুন্সির বাড়িতে তল্লাশী চালায় বিএসএফ’র ওই ছয় সদস্য। তল্লাশীর একপর্যায়ে সিরাজুলের স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে আটক করে লাঞ্চিত করার চেষ্টা করে বিএসএফ সদস্যরা। এ সময় তার চিৎকারে এলাকার লোকজন লাঠিসোঠা নিয়ে বিএসএফকে ধাওয়া করলে বিএসএফ সদস্যরা পালিয়ে যায়।
এ ঘটনার খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে রংপুর-৭ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)’র ধবলগুড়ি ক্যাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় বর্তমানে ওই সীমান্তে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ ঘটনা সম্পর্কে উপজেলার জোংড়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার বলেন, “বিএসএফ অতর্কিতভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করে হামলা চালিয়ে স্কুল পড়ুয়া তরুণীকে লাঞ্ছিত করার চেষ্টা করেছে। তার চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এলে বিএসএফ সদস্যরা পালিয়ে যায়।”
রংপুর-৭ বিজিবি ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর রুহুল আমীন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, “এ ব্যাপারে কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে বিএসএফকে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়েছে।”