কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ও জামাত সদস্য আটক

SHARE

পাবলিক সেফটি অ্যাক্টেরর আওতায় আটক করা হয়েছে কাশ্মীরের পাকিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী হুরিয়তের নেতা আশরাফ সেহরাইকে। এরই সঙ্গে জামাত ই ইসলামি গোষ্ঠীর বেশ কয়েকজন সক্রিয় সদস্যকেও আটক করা হয়েছে। রোববার জম্মু কাশ্মীর পুলিশের প্রধান দিলবাগ সিং এ খবর জানান।

তেহরিক ই হুরিয়ত গোষ্ঠীর নেতা সেহরাই। এই গোষ্ঠী নানাভাবে পাকিস্তানকে সমর্থন দিয়ে আসছে। কাশ্মীরে উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিনের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানি রাজনীতি থেকে ও হুরিয়ত কনফারেন্স থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার পরেই সক্রিয় হয় পুলিশ। গিলানির পর এই গোষ্ঠীর দায়িত্ব নিয়েছিল সেহরাই। অল পার্টি হুরিয়ত কনফারেন্সের দায়িত্ব নেয় সে। এই পার্টি ২৬টি বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে। সেহরাইয়ের ছেলে জুনেইদ সেহরাই চলতি বছরের মে মাসে সেনাবাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারান। হিজবুল মুজাহিদিনের ডিভিশনাল কমান্ডার ছিল এই জুনেইদ।

এদিকে, শনিবার জম্মু কাশ্মীরের কুপওয়াড়া জেলায় ফের সেনা জঙ্গি সংঘর্ষ শুরু হয়। এই সংঘর্ষে নিহত হয়  দুই লস্কর ই তইবা জঙ্গি। নিয়ন্ত্রণরেখার মাত্র ১০০ মিটার দূরে এই জঙ্গিদের এনকাউন্টার করা হয়। শনিবার মাঝ রাতে টহলদারি চালানোর সময় জঙ্গিদের অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটতে দেখে গুলি চালায় সেনা।

এই মৃত ২ জঙ্গির সঙ্গে পাকিস্তানের যোগ ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এদের দুজনের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে এ কে ৪৭ অ্যাসল্ট রাইফেল, শতাধিক বুলেট, চিনের পিস্তল, অস্ট্রিয়ান প্রযুক্তিতে তৈরি চারটি গ্রেনেড, তবে এই গ্রেনেড তৈরি হয়েছে পাকিস্তানের অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরিতে। কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের ১ বছর পূর্তি হতে চলেছে। সেই সময়ে একের পর এক জঙ্গি অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে কাশ্মীর অশান্ত করার পরিকল্পনা করছে পাকিস্তান।