জুনের মধ্যেই দিতে হবে গ্যাস-বিদ্যুতের বকেয়া বিল

SHARE

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিলের বিলম্ব মাশুল জুন পর্যন্ত মওকুফ করা হয়েছিল। তবে ৩০ জুনের মধ্যে এসব বকেয়া বিল না দিলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, খনিজ ও জ্বালানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
আজ বুধবার (১০ জুন) বিদ্যুৎ, খনিজ ও জ্বালানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষ থেকে অনলাইনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
করোনা পরিস্থিতি এখন তো আরও খারাপ। তাই বিলম্ব ফি মওকুফের বিষয়টি আর বাড়ানো হবে কি-না, জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটা আর মোটেও বাড়বে না। কারণ আমরা মনে করি, এখন আস্তে আস্তে (আমরা) স্বাভাবিক হয়ে যাচ্ছি। এটা বাড়ালে আবার আমাদের অবস্থা খারাপ হয়ে যাবে। সুতরাং, এ সময় সবার পার্টিসিপেট (অংশগ্রহণ) দরকার।
‘তিন মাসের বিল একসঙ্গে দেয়াটা তো বার্ডেন (বোঝা) হয়ে যাবে’-এমন প্রশ্নে নসরুল হামিদ বলেন, অবশ্যই বার্ডেন হবে। তবে এজন্য আমরা আগেই বলেছিলাম প্রস্তুত থাকতে হবে। গ্রাহকদের প্রতিমাসের বিল দেয়া হয়েছে। তবে আমরা বলেছিলাম পরের মাসে বিল দিলেও সার্চ চার্জ লাগবে না। কিন্তু আগামী ৩০ জুনের মধ্যে বিলগুলো পরিশোধ করতে হবে। এরপর একদিন পার হলেই সার্চ চার্জ দেয়া লাগবে।
‘৩০ জুনের পরেও কেউ যদি বিল দিতে না পারে তাহলে তাদের লাইন কেটে দেয়া হবে কি-না’ -জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে নিয়ম আছে সে নিয়মই প্রয়োগ হবে।
অতিরিক্ত বিলের বিষয়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিতরণ কোম্পানিগুলো এটা সমন্বয় না করলে আমার বরাবর আবেদন করলেই হবে। আমি সব কোম্পানিকেই এগুলো সমন্বয় করতে বলেছি। গ্রাহক যাতে সন্তুষ্ট হয় সেভাবেই ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
‘এজন্য মন্ত্রীর নিকট আবেদন করা কতটুকু সম্ভব’- জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা জাস্ট বললাম। সবাই নিজের এলাকায় আবেদন করবেন। তারপরও যদি কেউ প্রতিকার না পান তাহলে তাদেরকে আমার নিকট আবেদন করতে বলা হচ্ছে।
জ্বালানি তেলের দাম কমছে কি-না?
বিশ্ববাজারে কমে যাওয়ায় দেশে জ্বালানি তেলের দাম কমানোর উদ্যোগ নেবেন কি-না, প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা এখনও ওই সুবিধার জায়গায় যেতে পারিনি। কারণ আমাদের আগের তেলগুলো এখনও বিক্রি করার সুযোগ পাইনি। আমাদের জ্বালানি ব্যবহার হয়নি। আমরা আশা করছি যদি জ্বালানির ব্যবহার দ্রুত করতে পারি এবং এখনকার সুবিধা অনুযায়ী জ্বালানি আনতে পারি তাহলে সরকার ভবিষতের কথা চিন্তা করে বিবেচনা করবে। কিন্তু এটা সরকারের ওপরে নির্ভর করছে।
তিনি বলেন, পুরনো তেল রয়ে গেছে। সেজন্য ব্যবহার বাড়াতে হবে। আমি চাই যতটা কমফোর্ট হওয়া যায় তেলে। কম দামে তেল এনে ব্যবহার করলে পাওয়ার প্ল্যান্ট চালু করলে বিদ্যুতের দাম কম হতো। কিন্তু কোভিড-১৯ এর কারণে ব্যবহার করা যাচ্ছে না। এই বছরে খুব বেশি সুবিধা হবে না।
বাজেট ৩০ হাজার কোটি টাকা
প্রতিমন্ত্রী জানান, ২০২০-২১ অর্থবছরে বিদ্যুৎ বিভাগের বাজেট প্রস্তাবনা হলো ২৭ হাজার ৫৯৭ দশমিক ৭৩ কোটি টাকা। আর জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের জন্য তিন হাজার ১৩৮ দশমিক ৬৫ কোটি টাকা। মোট ৩০ হাজার ৭৩৬ দশমিক ৩৮ কোটি টাকা।
তিনি জানান, বিদ্যুৎ বিভাগের সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ রাখা হয়েছে বিতরণ ও সঞ্চালন লাইন এবং এরপরে কারিগরি ও উৎপাদনে। বাকি বরাদ্দ মেগা প্রকল্পে ব্যয় হবে। বিদুতের ক্ষেত্রে ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট, চট্টগ্রাম, রাজাশাহী, রংপুর, খুলনা, বরিশাল বিভাগে শতভাগ বিদ্যুতায়নের জন্য অর্থ ব্যয় হবে। সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি পার্বত্য চট্টগ্রামে।
আর জ্বালানি বিভাগের গ্যাস ও সঞ্চালন প্রকল্পে বেশি ব্যয় করা হবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।