আগুনে ৫ রোগীর মৃত্যু : ইউনাইটেড কর্তৃপক্ষের ব্যাখ্যা চেয়েছেন হাইকোর্ট

SHARE

রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত ইউনাইটেড হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ইউনিটে ৫ জন রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ১৪ জুনের মধ্যে লিখিতভাবে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে ওই ঘটনা সম্পর্কে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স এবং পুলিশের মহাপরিদর্শকের বক্তব্য একইসময়ের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে।

এদিকে আদালত বলেছেন, ক্ষতিপূরণের জন্য ভুক্তভোগী পরিবারের কোনো সদস্য হাইকোর্টে আবেদন করলে সে বিষয়ে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইউনাইটেড হাসপাতালের বিরুদ্ধে করা এক রিট আবেদনের ওপর শুনানি শেষে আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার নিয়াজ মুহাম্মদ মাহবুব ও ব্যারিস্টার শাহিদা সুলতানা শিলার করা এক রিট আবেদনে এ আদেশ দেন আদালত। রিট আবেদনকারীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার মুনতাসির উদ্দিন আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি অস্থায়ী আইসোলেশন সেন্টার তৈরি করে। মূল ভবনের পাশে অস্থায়ী ভিত্তিতে এটি তৈরি করা হয়। তবে আইসোলেসন সেন্টারে রোগীদের অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রাখা হয় বলে স্বজনদের অভিযোগ।

গত ২৭ মে রাতে রাজধানীর গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ইউনিটে এসি বিস্ফোরণের আগুনের সূত্রপাট ঘটে। ফায়ার সার্ভিস আগুণ নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ঘটনাস্থল থেকে পাঁচটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মৃতদের মধ্যে ছিলেন চারজন পুরুষ এবং একজন নারী। মৃত ব্যক্তিরা হলেন মো. মাহবুব (৫৭), মো. মনির হোসেন (৭৫), ভেরুন এ্যান্থনী পল (৭৪), খাদেজা বেগম (৭০) এবং রিয়াজুল আলম লিটন(৪৫)।

এ ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের উপ পরিচালক দেবাশীষ বর্ধনের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থর পরিদর্শন করেছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক দেবাশিষ বর্ধন বলেন, আইসোলেসন সেন্টারে রোগীদের অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রাখা হয়েছিল। খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিল। যারা মারা গেছেন তারা ঠিক সানশেডের নিচে মারা গেছেন। আগুনের সময় করোনা রোগীরা খুবই অসহায় ছিল। তবে ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাদী হয়ে ওই ঘটনায় গুলশান থানায় একটি ‘অপমৃত্যু’র মামলা করেছে বলে জানা গেছে।