বিক্ষোভকারীদের ওপর হিংস্র কুকুর লেলিয়ে দিতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প!

SHARE

পুলিশের হেফাজতে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক ও সাবেক বাস্কেট বল তারকা জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ড ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে সহিংস বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ার পর বিক্ষোভকারীদের দমনে হিংস্র কুকুর ও অশুভ অস্ত্র ব্যবহার করার হুমকি দিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, বিক্ষোভকারীরা হোয়াইট হাউসের সীমানা অতিক্রম করলে তাদের জন্য হিংস্র কুকুর ও ভয়ঙ্কর অস্ত্রশস্ত্র প্রস্তুত ছিল, যা আগে কখনো দেখিনি।

স্থানীয় সময় শনিবার সকালে হোয়াইট হাউসের সামনে থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিয়েছে মার্কিন আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা। এছাড়া নিরাপত্তার কারণে পুরো হোয়াইট হাউস এলাকায় প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেয়া হয়েছে।

ট্রাম্পের এমন মন্তব্যে কঠোর সমালোচনা করে ওয়াশিংটনের মেয়র মুরিয়েল বাউজার। এই কৃষ্ণাঙ্গ ডেমোক্রেট টুইটারে জানান, সেখানে কোনো হিংস্র কুকুর বা ভয়ঙ্কর অস্ত্র ছিল না। সেখানে একজন ভীত মানুষ ছিল।

ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডের ঘটনা কালো বর্ণের মানুষদের বিরুদ্ধে পুলিশের ধারবাহিক হত্যাকাণ্ডের অংশ হিসেবে মনে করছে বিক্ষোভকারীরা। ফার্গিউসনে মাইকেল ব্রাউন, নিউ ইয়র্কে এরিক গার্নার হত্যাকাণ্ডের ধারাবাহিকতা ফ্লয়ড হত্যার স্বীকার হয়েছেন বলে মনে করে বিক্ষোভকারীরা।

আমেরিকার কৃষ্ণাঙ্গ যুবক ও সাবেক বাস্কেট বল তারকা জর্জ ফ্লয়েডকে হত্যা ঘিরে সহিংস বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে পুরো যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে। ‘আমি শ্বাস নিতে পারিছ না’ -এমন শ্লোগানকে ধারণ করে ৩০টি শহরে ছড়িয়ে পড়েছে আন্দোলন। ফ্লয়েডের মৃত্যুতে ফুঁসে ওঠা বিক্ষোভকারীরা শুক্রবারের পর শনিবারও রাস্তায় নেমে এসে বিক্ষোভ দেখায়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শনিবার যুক্তরষ্ট্রের ১৬টি রাজ্যের ২৫টি শহরে কারফিউ জারি করা হয়। শহরগুলোর মধ্যে বেভারলি হিলস, লস অ্যাঞ্জেলস, ডেনভার, মিয়ামি, আটলান্টা, শিকাগো, মিনিয়াপোলিস, ফিলাডেলফিয়া, কলম্বাস, সল্ট লেক সিটি, সিয়াটল উল্লেখযোগ্য।

এরই মধ্যে অভিযুক্ত ওই চার পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং জর্জ ফ্লয়েডকে হত্যার জন্য মূল অভিযুক্ত ডেরেক শভিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার তাকে আদালতে হাজির করা হবে। ৪৬ বছর বয়স্ক জর্জ ফ্লয়েডকে ২৫ মে সন্ধ্যায় প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

সূত্র- এনবিসি নিউজ।