আরো ২১ প্রাণ নিল করোনা, শনাক্ত ১১৬৬

SHARE

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণে আরো ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ১৬৬ জন। এ নিয়ে দেশে করোনায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৫২২ জনের। আর সব মিলিয়ে শনাক্ত হয়েছেন ৩৬ হাজার ৭৫১ জন।

আজ মঙ্গলবার (২৬ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে সরকারি বুলেটিনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বুলেটিন প্রকাশে অংশ নেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

ডা. নাসিমা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণে দেশে আরো ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এঁরা ১৪ জন পুরুষ এবং সাতজন নারী। এঁদের বয়স ০ (শূন্য) থেকে ১০ বছরের মধ্যে একজন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে দুইজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে পাঁচজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে সাতজন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে তিনজন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে একজন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে একজন। এ নিয়ে দেশে করোনায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৫২২ জনের।

জানানো হয়, নতুন যে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে তাঁরা ঢাকা বিভাগের ১৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের চারজন এবং বরিশাল বিভাগের দুইজন। ঢাকা বিভাগের মধ্যে ঢাকা সিটিতে তিনজন, ঢাকা সিটির বাইরে একই জেলায় সাতজন। এঁদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ২০ জন এবং বাসায় মারা গেছেন একজন।

এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২৪৫ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন সাত হাজার ৫৭৯ জন।

ডা. নাসিমা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে চার হাজার ৪১৬টি। পূর্বের নমুনাসহ পরীক্ষা করা হয়েছে পাঁচ হাজার ৪০৭টি। এর মধ্যে করোনা রোগী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে এক হাজার ১৬৬ জনকে। এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৩৬ হাজার ৭৫১ জন। আর এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে দুই লাখ ৫৮ হাজার ৪৪১টি।

আইসোলেশন প্রসঙ্গে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে আরো ১৮২ জনকে। একইসময় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৬৫ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন চার হাজার ৭৭০ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন দুই হাজার ৩২৩ জন।

বুলেটিনে জানানো হয়, ঢাকাসহ সারা দেশে মোট আইসোলেশন সংখ্যা ১৩ হাজার ২৮৪টি। এ ছাড়া ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৫০০টি ও ময়মনসিংহ নার্সিং ডরমিটরিতে আরো ২০০টি আইসোলেশন শয্যা প্রস্তুতির কাজ চলছে। বর্তমানে ঢাকা মহানগরীতে সাত হাজার ২৫০টি এবং ঢাকা সিটির বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে আইসোলেশন শয্যার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ৩৪টিতে।

কোয়ারেন্টিন প্রসঙ্গেও তথ্য দেওয়া হয় বুলেটিনে। বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় হোম এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে এসেছেন দুই হাজার ৪৫২ জন। একইসময় কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন এক হাজার ৮৬৮ জন। আর এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে গেছেন মোট দুই লাখ ৬৮ হাজার ৩১৫ জন। আর এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন দুই লাখ ১২ হাজার ৩২৬ জন। ছাড়ের পর বর্তমানে হোম এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ৫৫ হাজার ৯৮৯ জন।

সারা দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে ৬২৬টি প্রতিষ্ঠান। এর মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে ৩১ হাজার ৮৪০ জনকে সেবা প্রদান যায় বলে জানানো হয় বুলেটিনে।

বুলেটিনে আরো জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য বাতায়ন এবং আইইডিসিআর’র হটলাইনে কল এসেছে এক লাখ ৫২ হাজার ৬৩৮টি। এসব কলে সবাইকে স্বাস্থ্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে এ পর্যন্ত হটলাইনে ৭৮ লাখ ১৪ হাজার ৯ জনকে স্বাস্থ্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসকের সংখ্যা বেড়েছে আরো পাঁচজন। এ নিয়ে এখন মোট প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসকের সংখ্যা দাঁড়াল ১৬ হাজার ১৭৩ জনে। এ ছাড়া বর্তমানে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে হটলাইনে চার হাজার ২১৭ জন চিকিৎসক স্বাস্থ্য পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন বলে জানানো হয় বুলেটিনে।