ক্যারিবীয় উপসাগরে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ! যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করল ইরান

SHARE

ইরান মার্কিন নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে হাজার হাজার টন গ্যাসোলিন রপ্তানি করছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলায়। অন্তত পাঁচটি ট্যাংকারে করে ভেনিজুয়েলায় ইরানি তেল নেওয়া হচ্ছে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে এসব ট‍্যাংকার আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিয়ে ভেনেজুয়েলায় পৌঁছাবে। ইরান ও ভেনেজুয়েলা দুই দেশের বিরুদ্ধে মার্কিন সরকার অবৈধভাবে একতরফা নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে।

তেল ট্যাংকার রপ্তানি ক্ষেত্রে ইরান ট্যাংকারগুলোতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে রেখেছে এবং এ সমস্ত ট্যাংকার মার্কিন নৌবাহিনীর চোখের সামনে দিয়ে ভেনেজুয়েলার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তবে মার্কিন সেনারা ইরানি জাহাজকে বাধা দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। নিশ্চিত নয় এমন কয়েকটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইরানি জাহাজকে বাধা দেওয়ার জন্য আমেরিকা ইউএসএস ডেট্রয়েট, ইউএসএস ল্যাসেন, ইউএসএস প্রিবেল এবং ইউএসএস ফারাগাট নামের যুদ্ধজাহাজ ক্যারিবীয় উপসাগরে মোতায়েন করে রেখেছে। এছাড়া বোয়িং পি-এইট পজিডন আকাশে বিমান টহল দিচ্ছে। এই ঘটনায় ওয়াশিংটনকে সতর্ক করে দিয়েছে ইরান।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভাদ জারিফ বলেছেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে বৈধ বাণিজ্য চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার কোনো অধিকার নেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। তিনি বলেন, ইরানি তেলবাহী ট্যাংকারের ওপর হুমকি মানে পুরো বিশ্বের জন্য হুমকি। আর তা শুধুমাত্র ইরান ও ভেনিজুয়েলার উদ্বেগের বিষয় নয়।

জাভাদ জারিফ বলেন, বিশ্বব্যাপী বৈধ বাণিজ্য অব্যাহত রয়েছে। এই ধরনের বাণিজ্যে ব্যাহত করার অধিকার যুক্তরাষ্ট্রের নেই। মার্কিন সরকারের এই নীতি কেবল একটি বা দুটি বিশেষ দেশের জন্য হুমকি নয়; বরং পুরো বিশ্বের জন্য হুমকিস্বরূপ। যদি কোনো দেশ তার নিজস্ব নীতিমালার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে এবং বৈধ বাণিজ্যকে ব্যাহত করতে পদক্ষেপ নিতে চায়; তবে অবশ্যই তীব্র প্রতিক্রিয়া মোকাবেলা করতে হবে দেশটিকে।

এর আগে গত রবিবার জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল আন্তোনিও গুতেরেসকে লেখা এক চিঠিতে ক্যারিবীয় উপসাগরে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করা নিয়ে সতর্ক করেছেন জারিফ। তিনি অভিযোগ করে লেখেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্য হলো, ভেনিজুয়েলায় তেল পৌঁছানোতে বাধা সৃষ্টি করা।

জারিফ গুতেরেসকে লেখেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই ধরনের নীতি ও বেআইনি আচরণের বিরুদ্ধে নিজেদের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকার রয়েছে ইরানের।

সূত্র: আওসাত।