টেস্ট কিটের এক রুপিও দেবে না ভারত, গভীরভাবে উদ্বিগ্ন চীন

SHARE

দুই চীনা সংস্থা তৈরি করা কভিড-১৯ র‍্যাপিড টেস্ট কিট ব্যবহার বন্ধ করার ভারতীয় সিদ্ধান্ত নিয়ে ‘গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে চীন। ভারত এই সমস্যাটি যুক্তিসঙ্গতভাবে সমাধান করবে বলে আশা করছে দেশটি।

সোমবার ভারত সরকার ঘোষণা দিয়েছিল যে, অর্ডার বাতিল হয়ে গেছে এবং ত্রুটিযুক্ত কভিড -১৯ টেস্ট কিট সরবরাহ করায় এক রুপিও পরিশোধ করা হবে না।

চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র জিয়া রং বলেছেন,’ আমরা চিকিৎসার মূল্যায়ন ফলাফল এবং ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। চীন রফতানি হওয়া চিকিৎসা সামগ্রীর মানকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়।’

চীনের কাছে প্রায় পাঁচ লাখ র‍্যাপিড টেস্টিং কিটের ক্রয়াদেশ দিয়েছিল ভারত। প্রাথমিকভাবে এসব কিটে ত্রুটি পাওয়ায় এই ক্রয়াদেশ বাতিল করা হয়েছে বলে দাবি ভারতের। এছাড়া এরই মধ্যে কয়েকটি রাজ্যে পাঠানো এসব কিট প্রত্যাহার করে নিয়েছে দিল্লি। তবে ভারতের অভিযোগ অস্বীকার করেছে চীন।

চীনের এসব র‍্যাপিড টেস্টিং কিটে ফলাফল পেতে প্রায় ৩০ মিনিট সময় লাগে। এছাড়াও এই কিট একবার আক্রান্তের শরীরে অ্যান্টিবডি আছে কিনা তাও শনাক্ত পারে। এই কিটের মাধ্যমে কোনও নির্দিষ্ট এলাকায় সংক্রমণের পরিমাণ বুঝতে পারেন কর্মকর্তারা।

র‍্যাপিড টেস্টিং কিট নিজে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করতে পারে না এমন অভিযোগের মধ্যে করোনা শনাক্তে এর ব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বেশ কয়েক জন বিজ্ঞানী। এই উদ্বেগ সত্ত্বেও টেস্টের পরিমাণ বাড়াতে ভারতের বেশ কিছু রাজ্য এই কিট ব্যবহারের অনুমোদন দিতে ভারতীয় মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিলের (আইসিএমআর) ওপর চাপ বাড়াতে থাকে।

প্রাথমিকভাবে রাজি না থাকলেও পরে দুটি চীনা কোম্পানি থেকে এসব কিট আমদানির সুযোগ করে দেয় আইসিএমআর। এর পরেই বিভিন্ন রাজ্য থেকে অভিযোগ আসতে থাকে এসব কিটের নির্ভুল ফলাফল দেওয়ার পরিমাণ পাঁচ শতাংশ। এমনকি ইতোমধ্যে করোনা শনাক্ত হওয়া রোগীর নমুনা এসব কিটে পরীক্ষা করে নেগেটিভ ফলাফল পাওয়া গেছে বলে অভিযোগ ওঠে। পরে আইসিএমআর’র কোয়ালিটি পরীক্ষাতেও ব্যর্থ হয় এই কিট।

ভারতের কর্মকর্তারা স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, অগ্রিম মূল্য পরিশোধ না করায় চীনের আদেশ বাতিল করে সরকারের এক রুপিও ক্ষতি হবে না। আর পুরো আদেশ বাতিল করা হয়েছে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

সূত্র- এনডিটিভি।