করোনাভাইরাস সবচেয়ে ভয়াবহ তাণ্ডব চালিয়েছে ইউরোপের দেশ ইতালিতে। দেশটিতে কারোনায় আক্রান্ত হয়ে হাজার হাজার মানুষ মারা গেছেন। করোনা ঠেকাতে দেশটিতে মার্চের ২৬ তারিখ থেকে চলছে লকডাউন। এর ফলে করোনায় নতুন করে সংক্রমণের হার ও মৃত্যুর হার কমেছে। আর তাই মে মাসের শুরুতেই লকডাউন তু্লে দেওয়া হতে পারে।
মঙ্গলবার ইতালির প্রধানমন্ত্রী জিউসেপ কন্টি নিশ্চিত করেছেন, ৪ মে ইতালির লকডাউন তুলে দেওয়া হতে পারে। তবে পশ্চিমা গণতন্ত্রে কিছু এলাকার কঠোর লকডাউন ব্যবস্থা পুরোপুরি তুলে নাও দিতে পারেন। তিনি বলেন, অনেক নাগরিক এ পর্যন্ত যে প্রচেষ্টা চালিয়েছেন তাতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। এই সপ্তাহেই এই ব্যবস্থার কিছু অংশের শিথিলতা চান। কিংবা পুরোপুরি উঠিয়ে নেওয়ার পক্ষে।
কন্টি ইঙ্গিত করেছিলেন যে, এই নিষেধাজ্ঞাগুলো শিথিল করার পদক্ষেপগুলো চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে ঘোষণা করা হবে। তারা বিভিন্ন অঞ্চলগুলোর করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করবে তার সরকার।
দেশটিতে লকডাউন আগামী ৩ মে পর্যন্ত চলবে। কিন্তু এরই মধ্যে কিছু কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলেছে। এর মধ্যে রয়েছে বইয়ের দোকান, স্টেশনারি এবং শিশুদের কাপড় বিক্রির দোকান। তবে এর মাধ্যমে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি কিভাবে নিরাপদে কার্যকর করা যায় তা দেখছে কর্তৃপক্ষ।
ইতালির উত্তরাঞ্চল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করোনায়। দেশটির অর্থনৈতিক ইঞ্জিন প্রায় বিকল করোনার কারণে। আর বর্তমানে অর্থনীতিকে টিকিয়ে রাখার জন্য শিল্পগুলোকে চালু রাখার প্রয়োজন মনে করছে সরকার। সম্প্রতি কেউ কেউ কম জনবল নিয়ে শিল্প প্রতিষ্ঠান খোলার অনুমতি পেয়েছে।
ইতালির ভেনেটোর আঞ্চলিক গভর্নর লুকা জাইয়া অনুমান করেছেন, এই অঞ্চলে ৪০ শতাংশ সংস্থা কাজ শুরু করে দিয়েছে। ধীরে ধীরে সব কিছু খুলের দেওয়ার পক্ষে দেশটির সরকার। ইতালির প্রধানমন্ত্রী জিউসেপ কন্টি বলেছেন, সব কিছু একেবারে খুলে দেওয়া হবে; এটা বলা সহজ কাজ নয়।
সূত্র: এপি।