ফেসবুক লাইভে এসে স্ত্রীকে হত্যা, স্বামী গ্রেপ্তার

SHARE

ফেনীতে পারিবারিক কলহের জের ধরে তাহমিনা আক্তার (২৮) নামের এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় স্বামী ওবায়দুল হক ভূঁঞা ওরফে টুটুলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আজ বুধবার বেলা দুইটার দিকে ফেনী পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড বারাহিপুরে এ ঘটনা ঘটে। হত্যাকাণ্ডের সময় ওবায়দুল এ ঘটনার ভিডিও ফেসবুকে ‘লাইভ’ ধারণ করেন এবং এ ঘটনায় নিজের দায় স্বীকার করেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে ফেনী পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড বারাহিপুর গ্রামের গোলাম মাওলা ভূঁঞার ছেলে ওবায়দুল হক ভূঁঞা কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আকদিয়া গ্রামের সাহাব উদ্দিনের মেয়ে তাহমিনা আক্তারকে বিয়ে করেন। তাঁদের তাফান্নুন আরোয়া মায়োস নামে দেড় বছর বয়সী একটি মেয়ে রয়েছে।

পরিবার সূত্র জানায়, ওবায়দুল হক ভূঁঞা ঢাকায় একটি কাপড়ের দোকানে চাকরি করতেন। স্ত্রী ও মেয়ে ফেনীর বাড়িতেই থাকত। করোনাভাইরাস সংক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার কিছু এলাকায় লকডাউন করে দেওয়া হলে ওবায়দুল হক ফেনীর বাড়িতে চলে আসেন।

স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার আগমুহূর্তে ভিডিওতে ওবায়দুল হক সবার কাছে মাফ চান এবং ঘটনার জন্য নিজেই দায়ী বলে স্বীকার করেন। এ ছাড়া পারিবারিক অশান্তির জন্য স্ত্রীকে দায়ী করেন। তাঁর স্ত্রী পরিবারকে ‘ব্ল্যাকমেল’ করতেন বলেও দাবি করেন। তিনি ভিডিওতে তাঁর মেয়েকে দেখভালের জন্য সবার কাছে অনুরোধ করেন। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার সময় ওবায়দুল হকের কক্ষে তাঁর স্ত্রী ছাড়া আর কেউ ছিল না।

ফেনী সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে ওবায়দুলকে গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।

ফেনী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ বিমল কান্তি পাল এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এই ধরনের জঘন্য ঘটনা কীভাবে ঘটানো যায়, তা বিশ্বাস করতেই কষ্ট হচ্ছে। তিনি অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।