গত চব্বিশ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১৩৯ জনের মধ্যে ঢাকা শহরে আছেন ৬২ জন। অন্যান্যরা ঢাকার বাইরের। আজ রবিবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এসব তথ্য জানান রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। ব্রিফিংয়ে উপস্থিত আছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনা।
ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, যেসব জেলায় করোনা ছড়িয়েছে তার মধ্যে নতুন করে যোগ হয়েছে লক্ষ্মীপুর, লালমনিরহাট, ঠাকুরগাঁও এবং ঝালকাঠি জেলা। এসব জেলার তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখেছি, গত এক সপ্তাহের মধ্যে বেশ কিছু মানুষ এসব জেলায় ঢাকা কিংবা নারায়ণগঞ্জ জেলা থেকে গিয়েছেন। এ কারণে এই সময় বার বার ভ্রমণ না করতে সতর্ক করা হচ্ছে।
তিনি জানান, দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত চব্বিশ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৪ জন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪ জনে। নতুন করে যে চারজন মারা গেছেন তাদের তিনজন পুরুষ এবং একজন নারী। গত চব্বিশ ঘণ্টায় দেশে ১৩৯ জন করোনায় আক্রান্তকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক রয়েছে ৩১-৪০ বছর বয়সের মধ্যে, শতকরা ২৫ ভাগ। তারপর ২১-৩০ বছর বয়সীরা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন যাদের শতকরা হার ২১ ভাগ। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা হলো ৬২১। এখানে বয়সভিত্তিক আক্রান্তের হার দেখানো হলেও যেকোনো বয়সের যেকোনো ব্যক্তি আক্রান্ত হতে পারেন। কাজেই প্রত্যেককেই প্রতিরোধের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
ডা. ফ্লোরা বলেন, কারো নমুনা পর পর দুইবার পরীক্ষা করে যদি কভিড-১৯ এর সন্ধান না পাওয়া যায় তবে তিনি করোনামুক্ত বলে ধরে নেওয়া হয়। গত চব্বিশ ঘণ্টায় এমন তিনজন মানুষকে পাওয়া গেছে। এ নিয়ে সর্বমোট ৩৯ জন সংক্রমণমুক্ত হয়েছেন। নতুন করে যারা সংক্রমণমুক্ত হয়েছেন তাদের দুজন নারী একজন পুরুষ। এই তিনজনের মধ্যে একজন চিকিৎসকও রয়েছেন। করোনারোগীকে সেবা দেওয়ার সময় ওই চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছিলেন।