কর্মহীন মানুষ ত্রাণ পাচ্ছে রাতের ঢাকায়

SHARE

গাজীপুরের বাসিন্দা সুজন বাসাভাড়া করে থাকেন ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায়। পেশায় নির্মাণ শ্রমিক। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকারের দশ দিনের ছুটি ঘোষণার পর কাজ বন্ধ সুজনের। সোমবার রাত আটটায় দেখা গেল, রাজধানীর বিশ্বরোডের কুর্মিটোলা মেডিক্যাল কলেজের উল্টো পাশে উড়ালসেতুর পাশে দাঁড়িয়ে আছেন ত্রাণের অপেক্ষায় সুজনসহ আরো ২০ নারী-পুরুষ।

সুজন বলেন, প্রতিরাতে ব্যক্তি ও সংস্থা থেকে অনেকে চাল, ডাল, তেল বিতরণ করছে। আজ রাতেও এসব বিতরণ করা হবে। রাস্তার ওপর স্বল্প আয় ও শ্রমজীবী যাদেরকে পায়, তাদেরকে ত্রাণ দেয় ত্রাণ কর্মীরা।

সেখানে উপস্থিত কথা হয় রঞ্জিনা, খাদিজার সঙ্গে। তারা বিভিন্ন বাসায় কাজ করতেন। করোনাভাইরাস সংক্রমণ হওয়ায় বাসায় যেতে নিষেধ করা হয়েছে তাদের। তারা দুজনে বলেছেন, বাসায় যথেষ্ট খাবার নেই। তাই রাস্তায় নামা। বনানীতে রাস্তার পাশে দেখা যায় বেশ কয়েকজন নারী-পুরষকে। যারা ত্রাণের জন্য অপেক্ষা করছেন।

বিএফ শাহীন কলেজ থেকে শাহীনবাগ পর্যন্ত অর্ধশতাধিক নারী পুরুষ ত্রাণের জন্য অপেক্ষা করছেন। কথা হয় জাহানারা বেগমের সঙ্গে। তিনি বলেন, শাহীনবাগ ছয় নম্বর গলিতে থাকেন। বাসার সবাই বেকার। সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। শুনেছি রাতের বেলায় ত্রাণ দেওয়া হয়। তাই রাস্তায় নামা।

শাহীনবাগ থেকে এসেছেন সাবিনা আক্তার, লাইলী, শারমিন, মিলি এরা সবাই বিভিন্ন বাসায় কাজ করেন। এখন কাজ বন্ধ। রিনা আক্তার কাজ করেন একটি পোশাক কারখানায়। সেটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আগামী মাসে বাসা ভাড়া দেবেন কিভাবে সেই চিন্তায় পড়েছেন তিনি।

আরো কথা হয় আকলিমা, মর্জিনা, সুমী সাথী, মোখলেসা বেগমের সঙ্গে। এরা সবাই শাহীনবাগে থাকেন। তারা সবাই বলছেন, এভাবে চলতে থাকলে ঢাকায় টিকে থাকা কঠিন হবে। সরকারের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো ত্রাণ পাননি। শুনেছেন, রাতের বেলায় ব্যক্তি ও সংস্থা থেকে ত্রাণ দেওয়া হয়। তাই রাস্তায় নেমেছেন।