তেজগাঁও থানায় দায়ের করা একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনিসহ ছয়জনকে। এ ছাড়া আদাবর থানার একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাসান চৌধুরীকে।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ রোববার তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।
দীপু মনি বাদে যে ছয়জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে, তাঁরা হলেন বাংলাদেশ ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাবেক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহ্মেদ পলক, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, একাত্তর টিভির সাবেক বার্তাপ্রধান শাকিল আহমেদ ও সাবেক প্রধান প্রতিবেদক ও উপস্থাপক ফারজানা রুপা।
আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকা সাবেক মন্ত্রী দীপু মনিসহ অন্যদের আজ সকাল সাড়ে ৭টার পর সিএমএম আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে তেজগাঁও থানার হত্যা মামলায় দীপু মনি, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনুসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে পুলিশ। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেন।
পরে তাঁদের আবার কারাগারে পাঠানো হয়। অন্যদিকে সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাসান চৌধুরীকে আদাবর থানায় দায়ের করা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে পুলিশ। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করার পর তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গত ১৯ আগস্ট গ্রেপ্তার হন সাবেক মন্ত্রী দীপু মনি। এরপর মোহাম্মদপুর ও ভাটারা থানার পৃথক দুটি মামলায় তাঁর ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ২২ আগস্ট গ্রেপ্তার হন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। এরপর পৃথক তিনটি মামলায় তাঁর ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ২৬ আগস্ট গ্রেপ্তার হন জাসদ সভাপতি, সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। এরপর পৃথক তিনটি মামলায় তাঁর ১৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
১৪ আগস্ট গ্রেপ্তার হন জুনায়েদ আহ্মেদ পলক। এরপর পৃথক তিন মামলায় তাঁর ২০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন গ্রেপ্তার হন ৩ সেপ্টেম্বর। এরপর মোহাম্মদপুর থানার একটি হত্যা মামলায় তাঁর আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ২১ আগস্ট গ্রেপ্তার হন সাংবাদিক দম্পতি শাকিল আহমেদ ও ফারজানা রুপা। এরপর পৃথক দুটি হত্যা মামলায় তাঁদের ৯ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ১০ সেপ্টেম্বর ঝিনাইদহ হয়ে ভারতে পালানোর সময় সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাসান চৌধুরী গ্রেপ্তার হন।