কোয়ারান্টিন না মানার শাস্তি

SHARE

সারা বিশ্বে নীরবে হাজার হাজার মানুষের শরীরে ঢুকে যাচ্ছে করোনা। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। রাষ্ট্রপ্রধান থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ; সবাই আক্রান্ত হচ্ছেন করোনায়।

চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাস সবচেয়ে বেশি তাণ্ডব চালাচ্ছে ইতালিতে। বাদ পরেনি যুক্তরাষ্ট্রও। এই মারণ ভাইরাস ছড়িয়েছে পাকিস্তানেও। দেশটিতে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। দেশটিতে এরই মধ্যে আটশ ৯২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আর মারা গেছেন ছয় জন। এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের করাচির নাজিমাবাদ নামক এলাকায় বন্ধ করা হয়েছে জন সাধারণের চলাচল। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে কেউ কেউ বের হতে পারছেন।

করোনা ঠেকাতে নাজিমাবাদে কারফিউ-এর মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে। শহরটি নিয়ন্ত্রণ করছে স্থানীয় পুলিশ। মানুষকে বলা হয়েছে করোনা রুখতে ঘরে থাকতে। স্বেচ্ছা কোয়ারান্টিনে থাকতে বলা হয়েছে সবাইকে। কিন্তু অনেকেই বাসা থেকে বের হয়ে ঘুরা-ফেরা করছেন। কিন্তু মুখে নেই ফেস মাস্ক, হাতে নেই গ্লোভস আর পকেটে নেই স্যানিটাইজার। তাই স্থানীয় পুলিশ বাধ্য হয়ে বাসার বাইরে বের হওয়া মানুষদের ধরছেন। আর দিচ্ছেন শাস্তি।

কোয়ারান্টিনের আদেশ না মানায় নাজিমাবাদে রাস্তায় কিছু লোকদের ধরে এক সঙ্গে দাঁড় করিয়ে দেয় স্থানীয় পুলিশ। তারপর শুরু হয় শাস্তির পালা। দুই পায়ের পেছনে থেকে ভেতরের দিকে হাত ঢুকিয়ে কান ধরিয়ে বসিয়ে রাখেন তারা। সেখানেই শেষ নয়; সরকারি আদেশ অমান্য করার অপরাধ তাদের নামে দায়ের করা হয় মামলাও।

এর আগে গতকাল সোমবার লকডাউন আদেশ না মানায় ২২২ জনকে আটক করেছে করাচি পুলিশ। এনিয়ে মোট ৬৮৬ জনকে আটক করা হয়েছে লকডাউন আদেশ ভঙ্গ করার জন্য। ২৪৬টি মামলা হয়েছে। করাচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম নবি মেমন বিষয়টি স্থানীয় গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।