ক্যালিফোর্নিয়ায় সবাইকে বাড়িতে থাকার নির্দেশ, যুক্তরাষ্ট্রে মৃত বেড়ে ২০০

SHARE

ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের সবাইকে বাড়িতে অবস্থান করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবারের এই সিদ্ধান্তের জেরে সেই রাজ্যের চার কোটি মানুষ বাড়ির বাইরে বের হতে পারবে না। অন্যদিকে ওয়াশিংটন প্রশাসন জানিয়েছে, সেখানকার যেসব নাগরিক বিদেশে আছেন, তারা যেন দেশে ফিরে আসেন। অন্যথায় এই সঙ্কট শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিদেশে থাকতে হবে।

ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গেভিন নিউসম বলেন, এখন পর্যন্ত যে ধরনের পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে, তাতে আট সপ্তাহের মধ্যে ক্যালিফোর্নিয়ায় ৫৬ শতাংশ মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে।

তিনি আরো জানান, এ ধরনের পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে নতুন করে হাসপাতালে ২০ হাজার শয্যা বাড়ানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর লস অ্যাঞ্জেলসে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এই মহামারি জটিল আকার ধারণ করতে পারে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শুক্রবার থেকে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তের দিকে যাতায়াতে কড়াকড়ি আরোপ করেছে ওয়াশিংটন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ভ্রমণ একেবারে বন্ধ।

করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার জেরে স্কুল-কলেজ, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। লাখ লাখ মানুষ বেকার হয়ে পড়েছে। এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় জরুরি ত্রাণ তহবিলে স্বাক্ষর করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দুই সপ্তাহের মধ্যে জরুরি এই তহবিল জনগণের কাছে চেক আকারে পৌঁছে যাবে।

জানা গেছে, ন্যূনতম এক হাজার ডলার করে দেওয়া হতে পারে ক্ষতিগ্রস্ত নাগরিকদের। স্কুল বন্ধ হওয়ার কারণে যারা বাড়িতে অবস্থান করছে, তাদের কাছেও চেক পৌঁছে যাবে।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশে করোনা পরীক্ষায় বিলম্ব হচ্ছে। অনেকেই মনে করছেন, দ্রুত পরীক্ষা করলে আরো বহু মানুষ আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হবেন। করোনা পরীক্ষায় দেরি হলে এটি আরো বেশি ছড়িয়ে যেতে পারে। এরই মধ্যে অন্তত দু’শ মানুষ মারা গেছে।

গতকাল নিউইয়র্কে আট হাজার জনকে পরীক্ষা করা হয়েছে। সেখানকার গভর্নর অ্যান্ডু কওমো নির্দেশ দিয়েছেন, রাজ্যের এক-তৃতীয়াংশ কর্মী বাড়িতে থেকে কাজ করবেন। আর বাড়িতে অবস্থানের বিষয়টি বাধ্যতামূলক করে দিয়েছে ক্যালিফোর্নিয়া।