জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচেও দাপুটে জয় পেয়েছে টাইগাররা। তবে নতুন ইতিহাস গড়া বাংলাদেশ দলের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান লিটন কুমার দাস বলেন, মাশরাফি ভাইয়ের শেষ অধিনায়কত্বে একটা ‘উইনিং নোট’ দিতে চেয়েছি আমরা। পুরো টিম চাচ্ছিলাম একটা ভালো ফলাফল করতে, সেটা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি
এ সময় ডাবল সেঞ্চুরি করার কোনো পরিকল্পনা ছিলো কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে লিটন বলেন, প্রথম টার্গেট ছিল ৩০ ওভার খেলার। ওই পরিকল্পনায় ব্যাটিং করি। এরপর শতরান করার পর খেলার ধরন পরিবর্তন করি। যে কারণে শর্ট খেলতে হয়েছে এবং সফল হয়েছি। তবে ডাবল সেঞ্চুরির করার সুযোগ ছিল। কিন্তু ডাবল সেঞ্চুরির চিন্তা নিয়ে মাঠে নামিনি। যেহেতু আমি জিরো থেকে ব্যাটিং করছিলাম।
নিজের ঘরোয়া ম্যাচের সঙ্গে বর্তমান খেলার তফাৎ টানতে গিয়ে তিনি বলেন, আগে ৫০/৬০ রানও করতে পারিনি। এখন টানা দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছি। আশা করছি সামনে আরো ভালো খেলতে পারব। আর ৩০ ওভার পর্যন্ত খেলতে পারলে শতরান আসবে আশা করি। এই বিশ্বাস এখন কাজ করে।
লিটন কুমার দাস বলেন, ঘরোয়া ম্যাচে ভালো ব্যাট করেও রান ষাটের ওপরে নেওয়া কষ্টসাধ্য ছিল। সেখানে আজকের ম্যাচ ক্যারিয়ারের অন্যতম। এভাবে এগিয়ে যেতে পারলে সামনে ভালো কিছু দিতে পারব।
তামিম মাঠে কি বলেছিলেন এমন প্রশ্নের জবাবে লিটন বলেন, যখন ৮০ রান করেছি। তখন বোলাররা খুব ভালো করছিল। আমি ও তামিম ভাই সিঙ্গেলও নিতে পারছিলাম না। তখন আমি মারকুটে ব্যাট চালাচ্ছিলাম। তামিম ভাইয়ের মোটিভেশন ছিল সময় গেলে রান আসবে, চারও আসবে। সেটা গেল আমার সেঞ্চুরির আগে। যখন ১২০/১২২ এর দিকে ব্যাট করছিলাম। তখন বলেছিলেন, এমন কিছু করে রাখ, যেনো বাংলাদেশের হয়ে টিকে থাক। অবশ্য বিগত খেলায় নার্ভাসনেস কাজ করলেও শুক্রবারের খেলায় মোটেও নার্ভাস ছিলাম না।
এদিন ১৪৩ বলে ১৬টি চার ও ৮টি ছক্কায় ১৭৬ রান করেন লিটন। আর এ রানের মধ্য দিয়ে আগের ম্যাচে তামিমের করা ১৫৮ রানের রেকর্ড ইনিংস টপকে যান তিনি।