হাজার-হাজার কর্মী ছাঁটাই করছে এইচএসবিসি; নেপথ্যে করোনাভাইরাস?

SHARE

ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসা কমানোর পরিকল্পনা করেছে বহুজাতিক ব্যাঙ্ক এইচএসবিসি। একইসাথে পুরো বিশ্বে ৩৫ হাজার কর্মী ছাঁটাই করতে যাচ্ছে তারা।

জানা গেছে, এইচএসবিসি ব্রিটেন ছাড়াও ইউরোপের অন্য দেশ থেকেও তাদের সেলস, ট্রেডিং এবং ইক্যুইটি রিসার্চ ব্যবসা গুটিয়ে এশিয়ার দেশগুলিতে স্থানান্তর করবে। গত বছর সংস্থার মুনাফা ৩৩ শতাংশ কমে যাওয়ার কারণেই এই পরিকল্পনা গ্রহণ করতে যাচ্ছে তারা।

এইচএসবিসির ব্যবসার সিংহভাগই চীন, ভারতসহ এশিয়ার দেশগুলোতে। সেখানে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য যুদ্ধ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার ফলে যে অনিশ্চয়তার পরিবেশ তৈরি হয়েছে তাতে দীর্ঘদিন ধরেই খরচ কমানোর চিন্তা করছিল সংস্থাটি।

সম্প্রতি চীনে করোনাভাইরাসের থাবা তাদের সেই ভাবনাকেই বাস্তব রূপ দেওয়ার পথ করে দিয়েছে।

মুনাফা কমায় ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্রে কর্মী ছাঁটাই করে খরচ কমানোর যে প্রক্রিয়া ব্যাঙ্কটি শুরু করেছে তার ঢেউ এ দেশের বাজারে পড়লেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। যদিও, গত কয়েক বছর এশিয়ায় অত্যন্ত ভালো ব্যবসা করেছে এইচএসবিসি। কিন্তু, এর সিংহভাগই চীন থেকে এসেছিল। কিন্তু, চীনে করোনাভাইরাস মহামারীর আকার নেওয়ায় এশিয়ার ব্যবসা নিয়ে সতর্ক এইচএসবিসি। ভবিষ্যতে এশিয় দেশগুলিতে কর্মীছাঁটাইেয়র পথে হাঁটতেই পারে সংস্থাটি। সে ক্ষেত্রে ভারতও বাদ যাবে না। যদিও এখন পর্যন্ত সে রকম কোনও ইঙ্গিত এইচএসবিসির তরফ থেকে পাওয়া যায়নি।

গত বছরের আগস্টে সংস্থার সিইও পদ থেকে হঠাৎ বহিস্কার করা হয় জন ফ্লিটকে। তার জায়গায় কার্যনির্বাহী সিইওর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নোয়েল কুইনকে। এইচএসবিসিকে ঢেলে সাজার গুরুভার রয়েছে নোয়েলের কাঁধে। বিশ্বের ৫০টির বেশি দেশে ব্যবসার বিস্তার ঘটালেও এইচএসবিসির সিংহভাগ মুনাফা এশিয়ার দেশগুলি থেকেই আসে।

নোয়েল বলেন, বেশ কিছু স্থানে আমাদের ব্যবসা গ্রহণযোগ্য রিটার্ন দিচ্ছে না। সেই কারণে আমরা বিনিয়োগকারীদের বেশি রিটার্ন দিতে বিকল্প পরিকল্পনা তৈরি করছি।’

সংবাদসংস্থা ব্লুমবার্গকে নোয়েল বলেন, গোটা বিশ্বে আমাদের কর্মীসংখ্যা বর্তমান ২,৩৫,০০০ থেকে কমিয়ে ২,০০,০০০ করা হবে।

২০২২ সালের মধ্যে ৪৫০ কোটি ডলার বা আনুমানিক ৩১,৫০০ কোটি টাকার খরচ কমানোর লক্ষ্য স্থির করেছে ব্যাঙ্কটি। যদিও সংস্থা পুনর্গঠন খাতে ৬০০ কোটি ডলার খরচ করবে এইচএসবিসি।