হুদা দম্পতির মামলা কার্যক্রমে চার সপ্তাহের স্থগিতাদেশ

SHARE

যমুনা সেতুর পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মার্গানেট ওয়ান লিমিটেডের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা ও তার স্ত্রী অ্যাডভোকেট সিগমা হুদার বিরুদ্ধে করা মামলার কার্যক্রম চার সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। এ সময়ের মধ্যে নাজমুল হুদাকে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে নিয়মিত লিভ টু আপিল আবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

মামলাটি বাতিল চেয়ে নামজুল হুদা দম্পত্তির করা আবেদন খারিজ করে গত ৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে করা আব্দেনের ওপর শুনানি শেষে চেম্বার বিচারপতি আজ রবিবার এ আদেশ দেন। আদালতে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা নিজেই শুনানি করেন। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।

যমুনা সেতুর পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মার্গানেট ওয়ান লিমিটেডের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে ২০০৮ সালের ১৮ জুন রাজধানীর মতিঝিল থানায় মামলা করে দুদক।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, মার্গানেট ওয়ান লিমিটেডের কাছ থেকে প্রতিমাসে ৫০ হাজার টাকা করে ঘুষ দাবি করেন তখনকার যোগাযোগমন্ত্রী নাজমুল হুদা। পরে প্রতিমাসে ২৫ হাজার টাকা দেওয়ার শর্তে কাজ দেওয়া হয়। এরপর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিগমা হুদার মালিকানাধীন খবরের অন্তরালে পত্রিকার ব্যাংক হিসেবে প্রতিমাসে ২৫ হাজার টাকা করে জমা দিতে থাকেন। ২০০৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ২০০৬ সালের ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত প্রাইম ব্যাংকের মতিঝিল শাখায় ৬ লাখ টাকা জমা করা হয়। তদন্ত শেষে এ মামলায় ২০১৯ সালের ২০ আগস্ট অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক। এরপর নাজমুল হুদা দম্পতির বিরুদ্ধে গত ২০ জানুয়ারি অভিযোগ গঠন করা হয়। এ মামলায় আজ ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য্য রয়েছে।

এর আগে আরো একবার এ মামলাটি বাতিল চেয়ে নাজমুল হুদা হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন। আদালত ২০১৬ সালে হাইকোর্ট দুদকের মামলাটি বাতিল করে রায় দেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে দুদক আপিল বিভাগে আবেদন করে। আপিল বিভাগ শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ৭ জুন এক আদেশে হাইকোর্টের রায় বাতিল করেন। এই আদেশের বিরুদ্ধে নাজমুল হুদা রিভিউ আবেদন করলেও তা খারিজ হয়। এ অবস্থায় নতুন করে আবেদন করেন নাজমুল হুদা। যা গত ৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট খারিজ করে দেন। এরপর এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালতে আবেদন করেন নাজমুল হুদা।