শুক্রবার সকাল থেকেই বইমেলা জমে ওঠার আশা

SHARE

অমর একুশে গ্রন্থমেলা উদ্বোধনের পর প্রথম কয়েকদিন পাঠকদের প্রস্তুতি নিতেই পার হয়ে যায়। এরপর জমে ওঠে মেলা। এবার বইমেলা শুরুর প্রথম পাঁচ দিনে কোনো ছুটি দিন ছিল না। তাই আজ শুক্রবার ছুটির দিনে পাঠকরা বইমেলায় আসবেন এমনটাই প্রত্যাশা প্রকাশক, লেখকসহ সংশ্লিষ্টদের। এছাড়া আজ অমর একুশে গ্রন্থমেলায় সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শিশুপ্রহর ঘোষণা করা হয়েছে।

অন্যান্য দিন বিকালে বইমেলা খোলা হলেও আজ শুক্রবার সকাল ১১টা থেকেই বইমেলা খোলা থাকছে। আর এজন্য বইমেলার বিক্রেতারা আশা করছেন সকাল থেকেই জমে উঠবে মেলা। মেলা চলবে বিরতিহীনভাবে রাত ৯টা পর্যন্ত।

বইমেলায় গত পাঁচ দিনে প্রকাশিত বইগুলোর তালিকায় কবিতার বই এগিয়ে। তবে কবিতার পাশাপাশি গল্প, উপন্যাস, ইতিহাস ও প্রবন্ধ রয়েছে।

বইমেলায় প্রতিদিনই বেশ কিছু বই প্রকাশ হচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সর্বোচ্চ সংখ্যক ৮১টি কবিতার বই প্রকাশিত হয়েছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উপন্যাস ৬৯টি। ৩৩টি গল্পের বইয়ের পাশাপাশি রয়েছে ১৬টি প্রবন্ধের বই। মুক্তিযুদ্ধ এবং শিশুতোষ বই রয়েছে ১৪টি করে। ১০টি করে বই গোয়েন্দা এবং ইতিহাস বিষয়ে।

এবার বইমেলার প্রায় সব প্রকাশনীতেই বঙ্গবন্ধুর কমবেশি বই দেখা গেছে। পুরোনোর চেয়ে নতুন বইয়ের সংখ্যাই বেশি। গতকালও খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, এখন পর্যন্ত বাংলা একাডেমির সর্বোচ্চ বিক্রীত বই বঙ্গবন্ধুর লেখা তৃতীয় গ্রন্থ ‘আমার দেখা নয়াচীন’।

এবার বইমেলা শুরুর পর প্রথম পাঁচ দিনে কোনো ছুটি না থাকায় প্রথমে আশানুরূপ পাঠক হয়নি। তবে মেলার তৃতীয় দিন থেকে পাঠকের আনাগোনা কিছুটা বেড়েছে।

বইমেলায় শিশুদের জন্যে রয়েছে নানা আয়োজন। আজ অমর একুশে গ্রন্থমেলায় সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শিশুপ্রহর ঘোষণা করা হয়েছে। ছুটির দিনে শিশুদের জন্যে মেলাপ্রাঙ্গণে হাজির হচ্ছে সিসিমপুরের শিশুদের প্রিয় চরিত্রগুলো। তারা শিশুদের সঙ্গে মিশবে, খেলা করবে। দিনে মোট তিন বার সিসিমপুরের চরিত্রগুলোর সন্ধান পাওয়া যাবে।