করোনাভাইরাসে নীরব কান্না, সৎকার চলছে ২৪/৭

SHARE

চীনের উহান শহরে মরদেহ সৎকারকর্মীরা ২৪ ঘণ্টা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। করোনাভাইরাস আরো ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে যাওয়া ঠেকাতে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মরদেহ দ্রুত সৎকার করা হচ্ছে।

একজন সৎকারকর্মী সাংবাদিকদের বলেছেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের সৎকারের জন্য দীর্ঘ সময় ধরে সৎকারকর্মীদের কাজ করতে হচ্ছে। বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে ২৪ ঘণ্টা চলছে সৎকারের কাজ।

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে সৎকারস্থলের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। সেই ভিডিওতে দেখা যায়, ১০ জনের বেশি মানুষের দেহ লাইন করে রাখা আছে। একের পর এক সেই দেহগুলো সৎকার করা হচ্ছে।

জানা গেছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা গেলে তার পরিবারের কাছে দেহ হস্তান্তর না করে নিরাপত্তার খাতিরে সৎকারের জন্য পাঠানো হচ্ছে।

যারা সৎকার করছেন, তারাও জানেন না যে কার মরদেহ সৎকার হচ্ছে। এমনকি হাসপাতাল থেকে মুড়িয়ে দেওয়া সেই দেহ খোলার মতো কোনো পরিস্থিতিও থাকছে না।

উহান শহরে অন্তত তিনটি স্থানে সৎকার করা হচ্ছে এসব মরদেহ। সৎকারকর্মীদেরও ব্যাপক সুরক্ষা দিয়ে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। আর ডাক্তাররা সব রকমভাবে প্রস্তুত হয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর কাছে যাচ্ছেন।

তবে উহানের একজন সৎকারকর্মী অভিযোগ করেছেন, গত ২৮ জানুয়ারি থেকে তারা ২৪ ঘণ্টা কাজ করছেন। তবে তাদের জন্য পর্যাপ্ত সরঞ্জাম, ব্যাগ, সুরক্ষা স্যুট, মাস্ক দেওয়া হচ্ছে না। কিছুদিন থেকেই মাস্কের আকাল পড়েছে। এ অবস্থায় সরকারিভাবে সৎকারকর্মীদের মাস্ক সরবরাহ করা না হলে মহামারি ছড়িয়ে পড়বে বলেও মনে করছেন তারা।

সৎকারকর্মীরা আরো বলছেন, ৯০ শতাংশ কর্মী ২৪ ঘণ্টায় সেখানে থাকছেন। বাড়ি ফিরে যাওয়ার কোনো ফুসরত নেই। কিছুটা সময় সেখানে জিরিয়ে নিয়েই মরদেহ সৎকারে নামতে হচ্ছে। আরো লোকবল দরকার বলেও মত দিয়েছেন অনেকে।

এদিকে, চীনে এখন পর্যন্ত চারশ ৯২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আরো অন্তত ২৪ হাজার তিনশ ২৪ জন আক্রান্তের খবর মিলেছে।