তাপস-ইশরাকের মুখে একই কথা, একই অঙ্গীকার

SHARE

বড় দুই দলের প্রার্থী আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস ও বিএনপির ইশরাক হোসেন আচরণবিধি মেনে চলার অঙ্গীকার করার পাশাপাশি কর্মী-সমর্থকদের নির্বাচন কমিশনের নিয়ম-কানুন মেনে চলার আহ্বান জানান। এ বিষয়ে তারা একই সুরে কথা বলেছেন।

দক্ষিণের বৈধ সাত মেয়র প্রার্থী হলেন আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস, বিএনপির ইশরাক হোসেন, জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন (মিলন), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আব্দুর রহমান, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) বাহরানে সুলতান বাহার, গণফ্রন্টের আব্দুর সামাদ সুজন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের আকতারুজ্জামান ওরফে আয়াতুল্লাহ।

আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস তাঁর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করায় নির্বাচন কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন ৩০ জানুয়ারির নির্বাচন সুষ্ঠু ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করবে বলে আশা করছি। আমি মনে করি, সবার অংশগ্রহণে একটি উত্সবমুখর নির্বাচন হবে।’ তাপস আরো বলেন, ‘যদি তীব্র শীতও থাকে আমি আপনাদের কাছে আহ্বান করব, ভোরে ঘুম থেকে উঠে আপনারা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়ে আপনাদের সেবককে নির্বাচন করবেন। আমার দল এবং আমার নির্বাচনী কার্যক্রমে যাঁরা অংশ নেবেন সবাইকে অনুরোধ করব, কমিশনের সব নিয়ম-কানুন মেনে প্রচার চালাবেন।’

এরপর তাপসকে ‘বড় ভাই’ সম্বোধন করে তাঁর বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করে বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেন বলেন, ‘আমার বড় ভাই পাশে রয়েছেন, তিনি আমার প্রতিদ্বন্দ্বী। আগামী ৩০ জানুয়ারির নির্বাচনে সিটি করপোরেশনের ভোটাররা অবশ্যই ভোটকেন্দ্রে আসবেন। আমি প্রতিজ্ঞা করছি, নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলব। একই সঙ্গে বিএনপি থেকে যাঁরা কাউন্সিলর প্রার্থী মনোনীত হয়েছেন তাঁরাও যেন আচরণবিধি মেনে চলেন, বিনীতভাবে এই অনুরোধ করছি।’

গতকাল বুধবার ঢাকা দক্ষিণের মেয়র, সাধারণ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হয়। এ সময় রাজধানীর গোপীবাগে সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টারে দক্ষিণের নির্বাচন কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন মেয়র পদের সাত প্রার্থী। মনোনয়নপত্রে দেওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করে কোনো গড়মিল না পাওয়ায় সবাইকে বৈধ ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার আব্দুল বাতেন। শুধু জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন (মিলন) মনোনয়নপত্রের এক জায়গায় নিজের নাম না লেখায় তাঁকে সেটা লেখার সুযোগ দেওয়া হয়।