ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণে বিএনপির পক্ষ থেকে করা কারচুপির আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেছেন, ইভিএমের ভোটে অস্বচ্ছতার কোনো কিছু নেই।
অন্যদিকে ইভিএমের ব্যবস্থাপনায় থাকা ইসির এনআইডি উইংয়ের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেছেন, ভোটের আগে ইভিএম প্রদর্শনীর আয়োজন থাকবে, কারও সন্দেহ হলে সেখানে এসে দেখে যেতে পারবেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ভোটযন্ত্রটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করে কাস্টমাইজ করা হয়। তবে দলের বিষয়ে আমি মন্তব্য করতে পারবো না। ব্যবস্থাপনার দিক থেকে বলতে পারি, ইভিএমে অনৈতিক কার্যক্রম করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তারপরেও কেউ যদি রি-চেক করতে চায় তাদের আমরা স্বাগত জানাই।
তিনি বলেন, আমরা ইভিএম প্রদর্শনীর আয়োজন করবো। কারো সন্দেহ থাকলে, তারা এসে দেখতে পারেন। আমরা যে নিরাপত্তা নিশ্চিত করছি, তাতে আমরা কনফিডেন্ট কোনো অনৈতিক কর্মকাণ্ড কারো পক্ষে করা সম্ভব হবে না। কারো কনফিউশন থাকলে আমরা তাদের কাছে পৌঁছে যাবো।
সাইদুল জানান, ভোটাররা ইভিএমে যাতে ভোট দেওয়ার সম্পূর্ণ ধারণা পেতে পারে, সেজন্য বিভিন্ন স্থানে প্রচারপত্র বিলি করা হবে। তাতে লেখা থাকবে মাত্র দুই বোতামে চাপ দিয়ে কীভাবে ভোট দিতে হয়। প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এনআইডি মহাপরিচালক বলেন, উত্তর ও দক্ষিণ সিটি ভোটে ২ হাজার ৬শ ভোটকেন্দ্র রয়েছে। ভোটকক্ষ থাকবে ১৪ হাজার ৬শ বা তার বেশি। প্রতি কক্ষে একটি করে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। আর একটি করে ব্যাকআপ থাকবে। ইভিএম ব্যবহারে কারিগরি সহায়তার জন্য প্রতি কেন্দ্রে মোতায়েন থাকবে দু’জন করে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য।
তিনি বলেন, ভোটাররা ইভিএমে যাতে ভোট দেওয়ার সম্পূর্ণ ধারণা পেতে পারে, সেজন্য বিভিন্ন স্থানে লিফলেট বিতরণ করা হবে। সেখানে সহজেই লেখা থাকবে মাত্র দুই বোতামে চাপ দিয়ে ভোট দেওয়ার বিষয়ে এবং কীভাবে ভোট দিতে হবে।
এ ছাড়া ভোটের আগে ২৫ এবং ২৬ জানুয়ারি প্রত্যেক কেন্দ্র ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় কীভাবে ভোট দিতে হবে সে বিষয়ে প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হবে।