আসামে সংঘর্ষ চলছেই; বাড়ছে মৃতের সংখ্যা

SHARE

সম্প্রতি ভারতে বিতর্কিত নাগরিকত্ব বিল পাস হয়েছে। এই বিলের প্রতিবাদে এখনও অগ্নিগর্ভ আসাম। শনিবার ডিব্রুগড় এবং গুয়াহাটিতে কারফিউ শিথিল করা হয়েছিল। যদিও সংবেদনশীল এলাকাগুলিতে সেনাবাহিনী এবং আধা সামরিক বাহিনীর টহল অব্যাহত রয়েছে। এদিকে, রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে এখনও সংঘর্ষ খবর পাওয়া যাচ্ছে। বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও।

শনিবার রাত পর্যন্ত সরকারি হিসাব অনুসারে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩। যদিও বেসরকারি মতে সংখ্যাটা আরও বেশি। অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগে শতাধিক ব্য়ক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শুক্রবার মধ্যরাতে কারফিউ উপেক্ষা করে সোনিতপুর জেলার ধেকিয়াজুলিতে একটি তেলের ট্যাংকারে আগুন ধরিয়ে দেয় মারমুখী বিক্ষোভকারীরা। এর জেরে ট্যাংকারের চালকের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকে গুয়াহাটিতে নয়া নাগরিকত্ব আইন বিরোধী বিক্ষোভে প্রাণ হারান ২ জন। আর এই তথ্যের ভিত্তিতে মৃতের সংখ্যা তিন বলে সরকারিভাবে জানানো হয়েছে।

গত কয়েকদিনের মতো শনিবারও গুয়াহাটির সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং দফতর বন্ধ ছিল। ভুয়া এবং প্ররোচনামূলক প্রচার রুখতে আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত আসামজুড়ে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। অল আসাম স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (আসু), আসাম জাতীয়তাবাদী যুব ছাত্র পরিষদ এবং আরও অন্তত ৩০টি সংগঠন ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার জেলাগুলিতে বিক্ষোভ করছে। এই বিক্ষোভে যোগ দিয়েছে ছাত্র, শিক্ষক, প্রবীণ নাগরিক, শিল্পী-সহ সমাজের সমস্ত অংশের মানুষ।

আসামে ইনার লাইন পারমিট ব্যবস্থা কার্যকরের দাবিতে শনিবারও এজেওয়াইসিপি-র নেতৃত্বে রেল অবরোধের ঘটনা ঘটেছে। এর জেরে উত্তরপূর্বাঞ্চলের সঙ্গে ভারতের বাকি অংশের ট্রেন যোগাযোগ বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।

ভারতের উত্তর সীমান্ত রেলের মুখপাত্র জানিয়েছেন, উজান আসামগামী সমস্ত ট্রেন গুয়াহাটিতে থামিয়ে দেওয়া হয়। সন্ধ্যা ৫টায় অবরোধ উঠে যাওয়ার পরে ট্রেনগুলি ফের গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।