কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা ঢাকার আদালতপাড়ায়

SHARE

গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আজ বুধবার (২৭ নভেম্বর)। এ উপলক্ষে ঢাকার আদালতপাড়ায় কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত থেকেই আদালত এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়।

সকাল থেকে নিম্ন আদালতের আশপাশে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রাজধানীজুড়েই সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী। তবে যেখানে রায় ঘোষণা করা হবে সেই নিম্ন আদালত ঢেকে দেওয়া হয়েছে নিরাপত্তার চাদরে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালী) ইকবাল বলেন, হলি আর্টিজান মামলার রায়কে কেন্দ্র করে রাজধানীর মূল পয়েন্টগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বসানো হয়েছে বিশেষ চেকপোস্ট। যে কোনো ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন তারা।

এর আগে গতকাল দুপুরে ঢাকার আদালতপাড়া পরিদর্শন করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার মীর রেজাউল আলম ও কৃষ্ণ পদ রায়। পরিদর্শন শেষে তাঁরা আদালতপাড়ার বিশেষ নিরাপত্তার জন্য ডিএমপির লালবাগ বিভাগের ডিসি ও আদালত পুলিশের ডিসিকে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন।

ডিসি প্রসিকিউশন জাফর হোসেন বলেন, হলি আর্টিজান মামলার রায় উপলক্ষে ডিএমপির দুই অতিরিক্ত কমিশনার আদালত এলাকা পর্যবেক্ষণ করেছেন। তাঁরা বিশেষ নিরাপত্তার বিষয়ে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। যদিও হামলার কোনো আশঙ্কা নেই, তবে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার থাকবে।

ঢাকা মহানগর আদালতের হাজতখানার ওসি মঈনুল ইসলাম বলেন, হাজতখানা থেকে এজলাসে আসামিদের আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার ঘটনায় করা মামলায় ২১১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১৩ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। গত বছরের ২৬ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ ওই জঙ্গি হামলা মামলার বিচার শুরু হয়।

জঙ্গি হামলার ঘটনায় আটজনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছিল গত বছরের ২৩ জুলাই। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ুন কবির ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

২০১৬ সালের ১ জুলাই রাত পৌনে ৯টায় হলি আর্টিজান বেকারিতে অতর্কিতে আক্রমণ করেছিলেন পাঁচ জঙ্গি। তাঁরা ভেতরে থাকা সবাইকে জিম্মি করে ফেলেন। একে একে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে ১৭ বিদেশি ও তিন বাংলাদেশিকে হত্যা করেছিলেন।

সেখানে তাত্ক্ষণিক অভিযান চালাতে গিয়ে নিহত হন দুই পুলিশ কর্মকর্তা। আহত হন র‌্যাব-১-এর তৎকালীন অধিনায়ক লে. কর্নেল তুহিন মাসুদ, পুলিশের গুলশান অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার আবদুল আহাদসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্য।