‘আজকের প্রাথমিক শিক্ষার্থীরাই আগামীর দেশ গড়ার কারিগর’

SHARE

প্রাথমিক শিক্ষা জাতির ভিত্তি, সকল শিক্ষার ভিত্তি এবং জাতিগঠনের একটি ভিত্তি স্বরূপ। আজকে যারা প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা দিচ্ছে তারাই হবে আগামীর দেশ গড়ার কারিগর। তাদের ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করতেই পিইসি পরীক্ষা নেওয়া হয়।

আজ বুধবার বেলা ১২টার দিকে কেরানীগঞ্জ উপজেলার আমবাগিচা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে আগানগর ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সাথে ব্রিফিংকালে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন একথা বলেন। এর আগে উপজেলার জিনজিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র তিনি পরিদর্শন করেন।

মন্ত্রী আরো বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মেধার বিকাশ ও তাদের প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব গড়ে তোলার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০০৯ সাল থেকে পিইসি পরীক্ষা চালু করেন। অনেকে পরীক্ষা চায়, অনেকে চায় না। এ বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলেছেন, আজকের পিইসি পরীক্ষার্থীরা আগামীতে এসএসসি, এইচএসসি পরীক্ষা দেবে, তখন যেন ওরা স্বাচ্ছন্দে পরীক্ষা দিতে পারে তাই পিইসি পরীক্ষা। তবে আমাদের অভিভাবকরা এটাকে প্রতিযোগিতা হিসেবে নেয়। তার সন্তানকে জিপিএ ৫ পেতেই হবে। বাচ্চাদের নাস্তানাবুদ করে ফেলে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দেশে ব্যাঙের ছাতার মতো কিন্ডারগার্ডেন গজিয়ে উঠছে। এদের বিরুদ্ধে অচিরেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই কিন্ডারগার্ডেন বিষয়ে নীতিমালা ও রেজিষ্ট্রেশনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। চলতি বছরের পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের মতো কোনো অপ্রিতিকর ঘটনা না ঘটায় সন্তোষ প্রকাশ করেন প্রতিমন্ত্রী।

এ সময় প্রতিমন্ত্রীর সাথে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের বিভাগীয় উপপরিচালক ইফতেখার হোসেন ভুইয়া, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আলেয়া ফেরদৌসি শিখা, কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত দেব নাথ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউট ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসান সোহেল, উপজেলা শিক্ষা অফিসার মাজেদা সুলতানা শিউলি, উপজেলা স্বাস্থ ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. মীর মোবারক হোসেন, উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার ফারজানা শেলী, আগানগর ইউপ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর শাহ খুশি, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা যুবলীগ সভাপতি মাহমুদ আলম, আ,লীগ নেতা মীর আসাদ হোসেন টিটু প্রমুখ।