সারা দেশে ডেঙ্গুতে মারা গেছে ১১২ জন

SHARE

ঢাকা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া নির্মূলে সংশ্লিষ্টদের কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থতার কারণ এবং দায়ীদের চিহ্নিত করতে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ঢাকা জেলা জজের নেতৃত্বে দুই সদস্যের কমিটিকে বিষয়টি তদন্ত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কমিটির অপর সদস্য হলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিবের নিচে নয় এমন একজন কর্মকর্তা। এই কমিটিকে আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কমিটিকে ভবিষ্যতে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে কি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন, সেবিষয়ে সুপারিশনামা তৈরি করতে বলা হয়েছে।

কমিটিকে ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীট-তত্ত্ব বিভাগের একজন করে শিক্ষক, আইসিডিডিআরবির একজন বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধি, সরকারের প্লান প্রটেকশন বিভাগের একজন এবং ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথের একজন প্রতিনিধিসহ বিশেষজ্ঞদের মতামত নিতে বলা হয়েছে।

বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ নির্দেশ দিয়েছেন। আজ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার কাজী মাঈনুল হাসান। ঢাকা দক্ষিন সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার তৌফিক ইনাম টিপু।

এদিকে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে হাইকোর্টকে জানানো হয়েছে, চলতি বছর সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে একশ ১২ জন মারা গেছে। সরকার ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া নির্মূলে দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী ‘পরিচ্ছন্ন গ্রাম-পরিচ্ছন্ন শহর’ কর্মর্সূচি গ্রহণের করেছেন। এর আগে গত ২৬ আগস্ট স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক প্রতিবেদন দিয়ে হাইকোর্টকে জানিয়ে ছিল, গত পহেলা জানুয়ারি থেকে গত ২১ আগস্ট পর্যন্ত সারা দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৪৭ জন মারা গেছে। এ সময়ে সারাদেশে ৫৭ হাজার ৯৯৫ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। এদিন আদালত এক আদেশে ঢাকাসহ সারাদেশে ব্যাপকভাবে ওষুধ ছিটাতে ও মশক নিধন অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেন।

গত ১৪ জুলাই আদালত স্বতপ্রনোদিত হয়ে এক আদেশে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়াসহ মশাবাহিত রোগ বিস্তার রোধে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ঢাকার দুই মেয়রসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। এরই ধারাবাহিকতায় আজ মৃতের সংখ্যা জানালো রাষ্ট্রপক্ষ।