দণ্ডিত শিশুরা মুক্তি পেয়েছে কিনা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট

SHARE

ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে টঙ্গী ও যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে বন্দি ১২ বছরের নীচে যেসব শিশু রয়েছে তারা মুক্তি পেয়েছে কি না এবং যাদের বয়স ১৩ বছর থেকে ১৮ বছর তাদের দেওয়া ৬ মাসের জামিনের আদেশের কপি সংশ্লিষ্ট আদালতে পৌঁছেছে কি না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্টার জেনারেলকে এ তথ্য জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. মাহমুদুল হাসান তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার এ আদেশ দেন।

হাইকোর্ট গত ৩১ অক্টোবর এক আদেশে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে টঙ্গী ও যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে বন্দিদের মধ্যে যাদের বয়স ১২ বছরের নীচে তাদের অবিলম্বে মুক্তির নির্দেশ দেন। আর যেসব শিশুর বয়স ১৩ বছর থেকে ১৮ বছর তাদের ৬ মাসের জামিনে মুক্তির নির্দেশ দেওয়া হয়। জামিনপ্রাপ্তদের সংশ্লিষ্ট জেলা শিশু আদালতের সন্তষ্ট সাপেক্ষে জামিননামা দাখিল করতে বলা হয়। এ ছাড়া সাজাপ্রাপ্ত শিশুদের প্রত্যেকের জন্য সাজার আদেশ সম্বলিত নথি আলাদাভাবে তৈরি করে তা ৭ কার্যদিবসের মধ্যে হাইকোর্টে পাঠাতে সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেট ও বিবাদীদের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়।

হাইকোর্ট অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনার পাশাপাশি রুল জারি করেন। রুলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শিশুদের সাজা দেওয়া ও আটক রাখা কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র, আইন, জনপ্রশাসন, সমাজ কল্যাণ এবং নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, র‌্যাব মহাপরিচালক, সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, টঙ্গী ও যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক, সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেটকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

এই আদেশের বিষয়ে সোমবার ব্যারিস্টার আব্দুল হালিমের কাছে অগ্রগতি জানতে চান আদালত। এ আইনজীবী বলেন, আদেশের কপি পৌঁছেনি বলে শুনেছি। এরপর আদালত আদেশের কপি পৌঁছানোর নির্দেশ দেন এবং তা পৌঁছেছে কি না তা জানাতে নির্দেশ দেন।

‘আইনে মানা তবুও ১২১ শিশুর দণ্ড’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে গত ৩১ অক্টোবর প্রকাশিত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে আদেশ দেন হাইকোর্ট। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজাপ্রাপ্ত এসব শিশু টঙ্গী ও যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে বন্দি। এই প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও চিল্ড্রেন চ্যারিটি বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম ও অ্যাডভোকেট ইশরাক হাসান।