ধর্মপাশায় প্রেসক্লাব থেকে অব্যাহতি নিলেন ৯ সাংবাদিক

SHARE

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় পৃথক দুটি প্রেসক্লাব থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নিয়েছেন ৯ জন সাংবাদিক। এর মধ্যে অন্য একটি সাংবাদিক সংগঠনের ১ জন সাংবাদিকও রয়েছেন। ওই সাংবাদিকেরা বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় কর্মরত উপজেলা প্রতিনিধি। আজ বুধবার দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই সাংবাদিকেরা।

ধর্মপাশা উপজেলায় সাংবাদিকদের পৃথক দুটি প্রেসক্লাব রয়েছে। এক প্রেসক্লাবের অবস্থান ধর্মপাশা সোনালী ব্যাংক সংলগ্ন একটি মার্কেটে অন্যটি হাসপাতাল রোডস্থ ত্রিমূখী মোড়ের আরেকটি মার্কেটে। এর মধ্যে একটি প্রেসক্লাবে জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকার সাংবাদিক এবং আরেকটিতে সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার ব্যক্তিরা দায়িত্বরত আছেন।
সম্প্রতি উভয় প্রেসক্লাবে দায়িত্বরত সাংবাদিকদের একে অপরের সাথে মত বিরোধ সৃষ্টি হওয়ায় ধর্মপাশা সোনালী ব্যাংক সংলগ্ন প্রেসক্লাব থেকে দৈনিক কালেরকণ্ঠের হাওরাঞ্চল প্রতিনিধি হাফিজুর রহমান চয়ন, দৈনিক ভোরের ডাকের উপজেলা প্রতিনিধি মো. ইমাম হোসেন, দৈনিক ব্রহ্মপুত্রের উপজেলা প্রতিনিধি কৃপেশ চন্দ্র সরকার এবং হাসপাতাল রোডস্থ ত্রিমূখী মোড়ের প্রেসক্লাব থেকে দৈনিক সংবাদের উপজেলা প্রতিনিধি সাইফ উল্লাহ, দৈনিক আমাদেরসময়ের উপজেলা প্রতিনিধি সাজিদুল হক (সাজু), আলোকিত সময়ের উপজেলা প্রতিনিধি এমএমএ রেজা পহেল, সমকালের উপজেলা প্রতিনিধি এনামুল হক (এনি), দৈনিক ভোরের পাতার উপজেলা প্রতিনিধি রাজু ভূঁইয়া স্বেচ্ছায় অব্যাহিত নিয়েছেন।
এছাড়াও একই কারণে ধর্মপাশা উপজেলা মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক দৈনিক যায়যায়দিনের উপজেলা প্রতিনিধি মো. মিঠু মিয়াও তার সংগঠন থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন। এ নিয়ে ওই সাংবাদিকেরা প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দিন থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নেওয়া সাংবাদিকদের নাম ও পদবী বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত তিনটি সংগঠন তাদের কাজে কোথাও ব্যবহার কিংবা অপব্যবহার করলে তা সম্পূর্ণরূপে অবৈধ এবং বেআইনি বলে গণ্য হবে এবং এই প্রেস বিজ্ঞপ্তি ওই সাংবাদিকবৃন্দের স্ব স্ব সংগঠন থেকে পদত্যাগপত্র হিসেবে বিবেচিত হবে।
সাংবাদিক মো. ইমাম হোসেন ও সাইফ উল্লাহ অব্যাহতি নেওয়া সকল সাংবাদিকের পক্ষে বলেন, ‘স্ব স্ব প্রেসক্লাব থেকে আমরা স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নিয়েছি। এখন থেকে আমাদের নাম ও পদবী ওই তিনটি সংগঠন তাদের কাজে কোথাও ব্যবহার কিংবা অপব্যবহার করলে তা সম্পূর্ণরূপে অবৈধ এবং বেআইনি বলে গণ্য হবে এবং এর জন্য আমরা কোনোভাবেই দায়ী থাকবো না।